কী জানা যাচ্ছে?
এসএসকেএমে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিন থেকে আগামীকাল, শনিবার থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে ফেলতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরিবর্তে CRPF-র কমানড্যান্ট যারা কলকাতা অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করেন এসএসকএমে সেই পদমর্যাদার দু’জন সিআরপিএফ মোতায়েন করতে।
সিবিআইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কেমন ভূমিকা থাকবে CRPF-এর
সিআরপিএফ অফিসাররা কাউকে সন্দেহজনক মনে করলে সঙ্গে সঙ্গে ইডি আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আধিকারিকদের ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছে । আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই ব্যাবস্থা চালু হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
ইডি কী জানাল?
এদিন ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, ‘সিসিটিভি নিয়ে আমাদের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা রক্ষীরা কারা আসছে, না আসছেন সেই ব্যাপারে রেজিস্ট্রার মেনে চললেই হবে। পরে সেটা ইডির তদন্তকারী অফিসারদের জানালেই হবে। এসএসকেএম হাসপাতালে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিনে সিসিটিভি নজরদারি কেন,? ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে দাবি করে গতকাল হাইকোর্টে মামলা করেন মন্ত্রী। সেই বিষয়ে বিকল্প ব্যাবস্থা কী করা যেতে পারে ইডির কাছে গতকাল জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
গতকাল আদালতে ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী জানিয়েছিলেন, জেল কোড অনুয়ায়ী তার উপর নজরদারি রয়েছে। মন্ত্রী একজন অভিযুক্ত। এখন রয়েছেন হাসপাতালে। তাঁর উপর নজরদারি না থাকলে নথি বিকৃত করতে পারেন। হাসপাতালের উপর ইডির বিশ্বাস নেই। নিম্ন আদালতের নির্দেশ অনুয়ায়ীই তাঁর উপর সিসিটিভি নজরদারি রয়েছে।
বিচারপতি ঘোষ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ইডি চাইলে সিআইএসএফ বা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে পারে যাতে সন্দেহজনক ব্যাক্তিরা প্রবেশ করতে না পারে। সিসিটিভি লাগানোর পরিবর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ব্যাপারে জানানো হয়। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যে ১৬২ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেই চার্জশিটে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমান সহ ১২ জনের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।