এদিনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য গৌতম চন্দ্র ও সহ-উপাচার্য আশিস পাণিগ্রাহী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুজিত চক্রবর্তী। এদিন অনুষ্ঠান শুরুর আগেও গোলাপবাগ অডিটোরিয়াম ছিল প্রায় ফাঁকা।
টিএমসিপি-র অভিযোগ, রাজ্যপাল ঢোকার কয়েক মিনিট আগে অডিটোরিয়ামে বহিরাগতদের ঢোকানো হয়েছে। তাঁরা নিজেদের ছাত্র বলে দাবি করলেও তাঁদের কাছে পরিচয়পত্র ছিল না। এমনকী তাঁরা কোন বিভাগ বা কোন সেমেস্টারের পড়ুয়া তাও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। অনুষ্ঠান শেষে বেরনোর সময়ে রাজ্যপাল তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের থেকে লাড্ডুর প্যাকেট চেয়ে নেন। সেই লাড্ডু তিনি বিলি করেন উপস্থিত ‘ছাত্র-ছাত্রীদের’ মধ্যে।
আচার্যকে কালো পতাকা দেখানো নিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্বে থাকা রাজ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজ্যপাল শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণ করতে চাইছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সমস্যা মেটাতে উনি আসেননি। সার্কিট হাউসে বিজেপির জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁদের দেওয়া লাড্ডু এনে ছাত্র সাজানো বিজেপির লোকেদের হাতে বিলি করেছেন।’
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রদের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বহিরাগত দাবি করে আমিরুল বলেন, ‘ওঁরা নিজেরাও জানেন না কোন ইয়ারে পড়েন। উনি সত্যিই আচার্য হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে আলোচনা করতেন। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ সমেত বহু সমস্যা রয়েছে এখানে। কিন্তু, উনি নিজেকে প্রচার করতে এসেছেন। আমরা তাই রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখিয়েছি। স্লোগানও দিয়েছি।’
রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন সম্পর্কে রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরী বলেন, ‘মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিসে আমাদের এই অনুষ্ঠান করতে হয়েছে। আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল আসতে চেয়েছেন। বহিরাগত ছাত্র-ছাত্রী ছিল বলে আমার জানা নেই। উপাচার্য ও সহ উপাচার্য না থাকায় অনেকটা দায়িত্ব ছিল। তবুও শেষ পর্যন্ত আমরা সফল ভাবে অনুষ্ঠান করতে পেরেছি। বাইরে কারা স্লোগান বা কালো পতাকা দেখিয়েছে, সেটা আমার জানা নেই।’