Jadavpur Vidyapith : টেস্ট পরীক্ষার ফল বেরোতেই ‘বিপদ’! আত্মঘাতী যাদবপুর বিদ্যাপীঠের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী – jadavpur vidyapith higher secondary student takes her life after failing in school test examination


উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য। গড়িয়ায় আত্মঘাতী যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম স্নেহা মুন্ডা। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণে ওই স্কুল পড়ুয়া এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পরিবার সূত্রে খবর।

কী ঘটনা?

টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে আত্মঘাতী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মৃত ছাত্রী যাদবপুর বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া ছিল বলে জানা গিয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ওই স্কুল পড়ুয়ার বাবা আগেই মারা গিয়েছে। গড়িয়ার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকত দুই বোন। এই ঘটনায় শোকের ছায়াা এলাকায়।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয় ওই স্কুল পড়ুয়ার। স্নেহা বাড়িতে জানায় যে সে পাশ করেছে। তার মা তাকে রেজাল্টের ছবি তুলে আনকে বলেছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপের জন্য মায়ের থেকে টাকা নিয়েছিল সে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরিয়ানি খেতে ভালবাসত স্নেহা। ফর্ম ফিলাপের টাকা দিয়ে সে বিরিয়ানি কিনে আনে। মা কাজে চলে যাওয়ার বাড়ি ফাঁকাই ছিল। মায়ের সঙ্গে ফোনেও কথা হয় তার। তারপরই গলায় ওড়না জড়িয়ে সে আত্মঘাতী হয়। কাজ সেরে বাড়িতে ঢোকার সময় মা দেখেন, দরজা খোলা। ঘরে ঢুকে মেয়েতে এই অবস্থায় দেখে তিনি চিৎকার করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসেন। স্নেহাকে এই অবস্থায় দেখে বিশ্বাস করতে পারছিল না কেউ। সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। মৃত উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

কী বলছে মৃত পড়ুয়ার পরিবার?

মৃত স্কুল পড়ুয়ার আত্মীয় প্রলয় বিশ্বাস বলেন, ‘মেয়ে তো খুব ভালই ছিল। উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা পাশ করতে পারেনি, এটা তো আমরা জানতাম না। কারণ সে জানিয়েছিল যে পাশ করেছে। ওর মা লিস্টের ছবি তুলে আনতে বলে। মাকে ফোন করে জানিয়েছিল সে পাশ করেছে। মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। মানসিক চাপের কারণেই হয়তো এটা করেছে।’

ঝুন্টু বিশ্বাস নামে মৃতের আরেক আত্মীয় বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল আগামী বছর। ওর মা রেলে চাকরি করেন। সারাদিন একাই বাড়িতে থাকে। কোনও কারণে টেস্ট পরীক্ষায় ও উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ও কিন্তু পড়াশোনায় খারাপ ছিল না। তারপরই যে কী ভাবে ফেল করল জানি না। কিন্তু সেই কারণে এত বড় কাণ্ড ঘটাবে, আমরা কেউ বুঝতে পারিনি। এর বেশি কিছু বলার মতো অবস্থায় আমি নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *