কী ঘটনা?
সরকারি চাকরির ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে ১১ লাভ টাকার প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বিরুদ্ধে। ঘটনা বীরভূমের সাঁইথিয়ার। মাঠপলসার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আসাদুজ্জামান ওরফে শেখ আতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য দফতরের নকল নিয়োগপত্র দিয়ে ১১ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলায়। দেবব্রত ঘোষ নামে এক ব্যক্তি সাঁইথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, জমি বিক্রি করে চাকরি পাওয়ার আশায় তিনি তৃণমূল নেতাকে টাকা দিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, মাঠপলসা পঞ্চায়েতের ভেলিয়ান গ্রামের বাসিন্দা দেবব্রত ঘোষের কাছ থেকে প্রাথমিক স্কুলের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রথমে ছয় লাখ টাকা নেন তাঁর প্রতিবেশী ভাগ্যধর মাহারা। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪২ বছর। ২০১২ সালে প্রাথমিকের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন দেবব্রত। কিন্তু চাকরি হয়নি। পরবর্তী কালে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির নামে পাঁচ লাখ টাকা নেন তৃণমূল নেতা। ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যানি।
কী বললেন অভিযোগকারী?
দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির জন্য দুই বিঘা জমি বন্ধক রেখে ৬ লাখ টাকা প্রতিবেশী ভাগ্যধরকে দিয়েছিলাম। কোনও চাকরি হয়নি। পড়ে অঞ্চল সভাপতি শেখ আতিক আমাকে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে আরও পাঁচ লাখ টাকা নেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য ডাকযোগে একটি নিয়োগপত্র আসে। কিন্তু কাজে যোগ দিতে গিয়ে আমাকে হেনস্থা হতে হয়। এমনকি আমাকে পুলিশে দেওয়ার উপক্রম হয়। আমি ফিরে এসে আতিককে সে কথা বললে আমাকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন তিনি। কিন্তু গত তিন বছরে মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। তাই থানায় অভিযোগ করলাম।’
আগেও পাট্টা দেওয়ার নামে স্থানীয় এক মহিলার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সামনে আসায় শেখ আতিককে নিয়ে কার্যত বিপাকে নেতৃত্ব। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লকের সভাপতি সাবের আলি খান বলেন, ‘বিভিন্ন দুর্নীতি ও দল বিরোধী কাজের জন্য শেখ আতিককে বহিষ্কার করার জন্য দলকে জানানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্য থেকে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি বলে তিনি এখন দলীয় পদে রয়েছেন।’