কী জানা যাচ্ছে?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের হাতিশালাই তৃণমূল কংগ্রেসের একটি বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগদান করে বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যে কজন মানুষ ভাঙড়ে খুন হয়েছে সেই খুনের দায় নওশাদ সিদ্দিকী এবং তার তথ্য প্রমাণ দেব। না দিতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’ তাঁর এই মন্তব্যে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
আর কী বললেন শওকত?
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এবার লোকসভা ভোটে নওশাদ সিদ্দিকীর ডায়মন্ড হারবারে ভোটে দাঁড়াবে ঠিক আছে দাঁড়াক। কিন্তু ওটা ভাঙড় নয়, আমিও ডায়মন্ডহারবারের সাতগাছিয়া বিধানসভার পর্যবেক্ষক। তাই নওশাদের জামানত জব্দ যদি করতে না পারি ভোট গণনার পরের দিন পদত্যাগ করল বলেও শওকত মোল্লা।
নওশাদকে আক্রমণ
অন্যদিকে, ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড়ে বিজেপির দালালি করতে এসেছেন। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনে নওশাদকে ভাঙড় থেকে উৎখাত করব।’ তাঁর কথায়, আগামী লোকসভা ভোটে ভাঙড় থেকে নওশাদ সিদ্দিকীর বিষ তুলে গলা ধাক্কা দিয়ে হুগলিতে পাঠিয়ে দেব।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে লড়াইয়ের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। হাইভোল্টেজ এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে এই আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে হারানোর ব্যাপারেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন নওশাদ। তাঁকে আগেই বলতে শোনা যায়, ‘ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডায়মন্ড হারবার থেকে হারিয়ে, পরাজিত সাংসদ করে কালীঘাটে পাঠাব।’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে ISF এবং তৃণমূলের বিরোধ চরমে উঠেছে ভাঙড় এলাকায়। উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসেই জেলার তৃণমূল নেতাদের নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি সম্মেলনে নওশাদের নাম না করে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছিল স্বয়ং তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বিজেপির টাকা নিয়ে দুই একজন ভুঁইফোড় উঠেছে।’