Suvendu Adhikari : ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে আগে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন, জলপাইগুড়িতে ঘোষণা শুভেন্দুর – suvendu adhikari claims if bjp came in government they will develop north bengal earlier


গত সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গ সফর করে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা শ্রমিকদের উন্নয়ন থেকে পাট্টা দান, উদ্বাস্তুদের জন্য ঘর নির্মাণ একাধিক বার্তা দিয়ে এসেছেন তিনি। শনিবার জলপাইগুড়ি থেকে রাজ্য সরকারকে পালটা একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

কী বললেন শুভেন্দু?

উত্তরবঙ্গ জুড়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ধারা এসে পৌঁছয়নি বলেই এদিন দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে ঝুলি ভরে ভোট এসেছে বিজেপির কাছে। এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ইঙ্গিত দেন, আগামী দিনে রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে প্রথমে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য ভাবা হবে।

উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের অঙ্গীকার

শুভেন্দু এদিন সভায় বলেন, ‘একটু সময় লাগছে। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে পশ্চিমবঙ্গে। ক্ষমতায় এলে আগে যদি কারও কথা মনে রাখি, সে হল ১৯ আর ২১ এর বন্ধু। উত্তরবঙ্গের কথা আমরা আগে ভাববো।’ তাঁর কথায়, উত্তরবঙ্গ যা করে দেখাতে পেরেছে, তা এখনও করে দেখাতে পারেনি দক্ষিণবঙ্গ এবং কলকাতা।

চা বাগান প্রসঙ্গ

চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ইতিমধ্যে চা সুন্দরী প্রকল্পের আরম্ভ করেছে রাজ্য সরকার। গত সপ্তাহের সফর থেকে উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকের জন্য পাট্টা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পালটা শুভেন্দু জানান, চা সুন্দরী প্রকল্পে আদৌ কেউ ঘর পাননি এই এলাকায়। এছাড়াও, চা বাগানের ‘মালিক’ আসলে চা শ্রমিকরাই। তাঁদের পাট্টা প্রদান করার কথা দিয়ে আসলে এই সরকার ‘ভাঁওতা’ দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট পাওয়ার আশায় এই দাবি করা হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

Suvendu Adhikari : ‘পা ধরে লাভ নেই…কিছু পাবেন না’, মোদী-মমতা বৈঠকের আগেই কটাক্ষ শুভেন্দুর
উল্লেখ্য, উত্তরের জেলা গুলিতে গত লোকসভা নির্বাচন থেকে নিজেদের ভিত শক্ত করতে শুরু করেছে বিজেপি। এর প্রভাব দেখা গিয়েছে গত বিধানসভা নির্বাচনেও। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে চিত্রটা কিছুটা বদলে যায়। এর মাঝেই ধূপগুড়ির নির্বাচনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে আগামী লোকসভা নির্বাচনের সময় নিজেদের চেনা ঘাঁটি উত্তরবঙ্গে বিজেপি ধরে রাখতে পারবে কিনা সে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *