কী জানা যাচ্ছে?
এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। বারুইপুরের মদারাট পঞ্চায়েতের বলবন এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম সাইদুল আলি শেখ। পেশায় গাড়ি চালক সাইদুলকে শনিবার রাতে এলাকার একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তদন্ত শুরু পুলিশের
এই ঘটনায় রবিবার সকালে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধন্দে তদন্তকারীরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাইদুলের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল এলাকার লোকজনের। তার জেরে খুন করা হতে পারে বলে করছেন কেউ কেউ।
পরিবার কী বলছে?
পরিবারের সদস্যের দাবি, সাইদুলকে হিংসা করত এলাকার লোকজন। তার জেরে তার উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সামনে এসেছে রাজনৈতিক যোগও। সাইদুল এলাকায় দীর্ঘদিন তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সেক্ষেত্রে এই ঘটনার পিছনে রাজনীতির যোগ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তৃণমূল নেতৃত্ব কী বলছে?
স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন তৈরিতে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। পঞ্চায়েত ভোটে সক্রিয় ভাবে দলের কাজ করেন তিনি। বিজেপি-সিপিএম মিলে এলাকায় নির্দল প্রার্থী দিয়েও সুবিধা করতে পারেনি। তার জেরেই বিজেপি-সিপিএম মিলে তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতা গৌতম দাসের।
সিপিএম-বিজেপির কী দাবি?
সিপিএম জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের এই কর্মী নিজেই দুষ্কৃতীমূলক কর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এটা তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। তদন্তের আগেই কারও ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। অন্যদিকে, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপির কারও ক্ষমতা নেই ওই জেলায় এক তৃণমূল কর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে হত্যা করবেন। এটা তৃণমূলের নিজদের গন্ডগোলের জন্যেই হয়েছে। অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে প্রকৃত দোষীকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি বিজেপির।