শনিবার ডানলপে পূর্ত দপ্তরের কলকাতা নর্থ ডিভিশনের অফিসের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক সেনগুপ্ত, ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) সন্দীপ কাররা-সহ পুলিশ ও পূর্ত দপ্তরের পদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতে একটি জরুরি বৈঠকে বিটি রোড চওড়া করার পাশাপাশি দ্রুত দখলদার সরানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোদপুর ট্র্যাফিক মোড় থেকে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার বিস্তৃত বিটি রোড। বর্তমানে এই অংশে চার লেনের রাস্তা রয়েছে। যে ভাবে বিটি রোডের উপর গাড়ির চাপ বাড়ছে তাতে যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই অংশে। জানা গিয়েছে, বিটি রোডের দু’পাশের রাস্তা চার মিটার করে চওড়া করে ছয় লেনের রাস্তা করা হবে। দুই অভিমুখেই সাড়ে এগারো মিটার করে রাস্তা চওড়া হবে। শুধু তাই নয়, ডানলপ থেকে সোদপুরের ধাঁচে রাস্তার মাঝের লোহার রেলিংয়ের ডিভাইডার সরিয়ে বুলেভার্ড ডিভাইডার করা হবে। যেখানে লাগানো হবে বিভিন্ন ধরনের গাছ। নির্দিষ্ট ওই অংশে নতুন করে আলোয় রাস্তা সাজানো হবে।
স্থানীয়দের কথায়, সোদপুর থেকে ডানলপ অংশে বিটি রোড চওড়া হলেও সোদপুর থেকে ব্যারাকপুরের অংশে চওড়া না হওয়ায় খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। যানজটের পাশাপাশি, রাস্তা সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়ায় আকছার দুর্ঘটনাও ঘটছিল। রাস্তা চওড়া হলে যানজট সমস্যা যেমন কমবে, তেমনি দুর্ঘটনাতেও লাগাম টানা সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পথচলতি মানুষজন। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘বিটি রোডে গাড়ির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। একাংশ চওড়া হলেও অন্য দিকটা তেমন না হওয়ায় কিছু সমস্যা ছিল৷ সেই সমস্যা মেটাতে বাকি ওই অংশে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে।’