বিতর্কের সূত্রপাত বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর একটি মন্তব্য থেকে। বারাসতে সাধারণ মানুষের কথা শোনার মতো কোনও জনপ্রতিনিধি নেই, এই কথাই বলেছিলেন তিনি। তাঁর নিশানায় কি ছিলেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ? তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। এবার এই মন্তব্যের পালটা এবার সরব হলেন চিরঞ্জিত।
তিনি বলেন, ‘বারাসতের সমগ্র এলাকাকে ধরেই তিনি এই কথা বলেছেন। তাই নিশ্চিত এর পিছনে কোন উদ্দেশ্য আছে। তিনি অশোকনগর নিয়ে যতটা না ব্যস্ত তার থেকে অনেক বেশি ব্যস্ত বারাসত নিয়ে। কেন? গতবারও দাঁড়ানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে টিকিটটা দিয়ে দিলেন। আবার একবার চেষ্টা করছে হয়ত। তাই আমার ধারণা সেই কারণেই এইসব কথা বলা। এটা কোনও অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয় নয়। কারও অ্যাম্বিশন থাকতেই পারে।’
বারাসতে উন্নয়নমূলক কাজের কোনও খামতি নেই, স্পষ্ট মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি এই মন্তব্য যখন তিনি কোর কমিটির সামনে করেছেন তখন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্বও কোর কমিটিরই, মন্তব্য চিরঞ্জিতের।
এরপরেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। চিরঞ্জিত বলেন, ‘বারাসতে অনেক মধু আছে হয়তো। সেই রাজনীতি আমি করি না। এখানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বা এই রাজনীতিটা আমি ঠিক করি না। মধু খুঁজতেই বারাসতের দিকে নজর কি না তাও বলতে পারব না। এই মন্তব্য কোর কমিটির সামনে করেছে যখন। এর কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি না।’ পাশাপাশি অশোকনগরে ‘মধু’ রয়েছে কিনা, তাও জানা নেই, মন্তব্য করেন চিরঞ্জিৎ।
অর্থাৎ ২০২৬ সালে বারাসতকেই ‘টার্গেট’ করছেন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক এবং সেখান থেকে ভোটে লড়ার জন্য জায়গা প্রস্তুত করছেন, ঠারে ঠোরে এমনটাই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি। ২০৩৬ সালের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন, কুণাল ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি।
এই প্রসঙ্গে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘আমি বিশারদ নই। দলের মুখপাত্রও নই। তাই এই নিয়ে আলাদা করে কোনও মন্তব্য করব না।’