কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
মুখ্যমন্ত্রী রবিবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। যাওয়ার আগে বিমান বন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘সংসদে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা খুবই গুরুতর। এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সংসদে নিরাপত্তার গাফিলতি ছিল। এরকম ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।’
বাংলা যোগ
তবে সংসদে হামলার ঘটনায় প্রধান অপরাধী ললিত ঝাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ললিত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিল বলেই জানা গিয়েছে। তবে তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ ছিল বলে আওয়াজ তুলেছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সংগঠনের তরফে ললিতের সম্পর্ক ছিল বলে মন্তব্য করেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে মমতা এদিন বলেন, ‘এর সঙ্গে বাংলার কোনও যোগ নেই। ঝাড়খন্ড বা অন্য কোথায় আছে আমি জানি না। এটার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক…বিজেপির চিরকাল কাজ হচ্ছে বাংলার দুর্নাম করা।’
তাঁর কথায়, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের মাঝে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। তাঁর কথায়, ‘আমরা এরকম গুরুতর নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কোনও আবোল – তাবোল মন্তব্য করি না। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দেখা হোক।’ সংসদে হামলাকারীদের পাস ইস্যু করেছে বিজেপি সাংসদ, এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন মমতা বলেন, ‘এই প্রশ্ন তলায় ডেরেকে ও ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অন্যান্য দলের সাংসদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।’
রাজ্যের বকেয়া আদায়
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, বাংলার বাড়ি প্রকল্প থেকে শুরু করে একশো দিনের কাজ একাধিক প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সেই বিষয়ে আলোচনা করতেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন আগামী ২০ ডিসেম্বর। স্বভাবতই, এদিন মমতা জানান স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি গেরুয়া রং করতে বলা হচ্ছে, এরকম অজুহাত দিয়ে অর্থ বরাদ্দ করা যায় না। আমরা নীল সাদা রং দলের তরফে ব্যাবহার করি না। এটা সরকারি সিদ্ধান্ত, শহরের একাধিক জায়গায় এই রং করার জন্য।
পাশাপাশি, আগামী দিনেও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কোনও বড় আকারের আন্দোলন হবে কিনা সে ব্যাপারে কিছু জনাননি তিনি। সেক্ষেত্রে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কী ফল পাওয়া যায়, সে ব্যাপারেই নজর রাখা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের প্রাপ্য টাকা কেন আটকে আছে সে ব্যাপারেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব রাখা হবে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী।