কী বললেন পাপিয়া?
পাপিয়া এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘আমি কাটমানি নিয়েছি, তোলাবাজি করেছি এমন প্রমাণ থাকলে দেখাক। আমি পদত্যাগ করব।’ তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতীক আমাকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা কাটমানি দিতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, আমার কোনও কাজ করতে হবে না শুধু বাড়িতেই বসে থাকতে হবে এবং প্রতি মাসে খামে করে ৫০০০০ টাকা বাড়িতে চলে আসবে। শুধুমাত্র মুখে অভিযোগ নয়, তিনি প্রতীকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও জনসমক্ষে নিয়ে এসেছেন।
পাপিয়ার নিশানায় লাভলি
এরপরেই তিনি এই বিতর্কে টেনে আনেন বিধায়ক লাভলি মৈত্রকে। তাঁর কথায়, এসব নিয়ে ডিসেম্বরের শুরুতেই সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলী মৈত্রকে তিনি জানিয়েছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপে তার রিপ্লাই দিয়ে লাভলি জানিয়েছেন, ‘তুমি কী করছ তা আমি জানি, প্রতীক কী করেছে তাও আমি জানি। এসব নিয়ে পরে কথা বলব।’ কাউন্সিলরে আরও বক্তব্য, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তা নিয়ে সোনারপুর থানা ও পুরপ্রধানকে জানিয়েছেন। অথচ কেউ কোন ব্যবস্থা নেননি।
যদিও সামাজিক মাধ্যমে এমন অভিযোগ করলেও পাপিয়া এখনো পর্যন্ত সোনারপুর থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। এ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তার জবাব, বাড়ির বাইরেই বের হতে পারছি না থানায় গিয়ে কিভাবে অভিযোগ করব? বস্তুত স্থানীয় নেতাদের প্রতি আর কোন ভরসা নেই পাপিয়ার। তার এই হেনস্তার প্রতিবাদ স্বরূপ তিনি এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবি করছেন রাজ্য নেতৃত্বের। প্রতীক অবশ্য জানান তাঁদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। একসাথে ব্যবসা করার কথা ছিল। সেই নিয়েই কথপোকথন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা পাপিয়া হালদার অভিযোগ করেন তাঁকে বিয়ে করার জন্য জোর করছেন তৃণমূল যুবনেতা তথা পুরসভার প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর প্রতীক দে। পালটা, প্রতীক পাপিয়ার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ এনেছেন। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসকে। যদিও, বিষয়টি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও কিছু জানায়নি।