Free Health Check Up : চাকরি ছেড়ে বিনামূল্যে মানব সেবা, গ্রামবাসীদের ‘ভগবান’ হয়ে উঠেছেন ফারুক – free health check up camp driven by a doctor at sandeshkhali sundarban good news


বাবা দিনমজুর ছিলেন। অভাবটা ছোট থেকে দেখেছি। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দু মুঠো ভাত জোগাড়ের জন্যেই উপার্জন খরচ হয়ে যায়। নিজেদের শরীর খারাপ হলে চিকিৎসা করার অর্থ আর পাবেন কোথা থেকে? এঁদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়াটা আমার কর্তব্য – বলছিলেন সুন্দরবন সন্দেশখালি অঞ্চলের বাসিন্দা ফারুক হোসেন। লোকে তো আপনাকে ‘ভগবান’ বলে! সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি একবারেই সাধারণ মানুষ, এঁদের সেবা করাটাই আমার কাজ।’

চাকরি ছেড়ে মানব সেবা

সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা ফারুক হোসেন এমবিবিএস উত্তীর্ণ হওয়ার পর মোটা বেতনের চাকরিও পেয়েছিলেন। নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থেকে বেশি মানুষের সেবায় নিজেকে নিংড়ে দেওয়া যাবে না, এই ভাবনা থেকে ছেড়ে দেন চাকরি। এরপরেই সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় নিজের একটি ছোট চেম্বার খুলে বসেন। লক্ষ্য একটাই! বিনামূল্যে মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া। সেই লক্ষ্যেই অবিচল ফারুক।
তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছে গোটা সুন্দরবন অঞ্চল জুড়ে। দূর থেকেও মানুষ এসে হাজির হচ্ছেন তাঁর চিকিৎসালয়। বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে আনন্দিত সকলেই। প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করে যাচ্ছেন তাঁদের এলাকার ছেলেটিকে। যিনি কিনা নিজের বিলাস বহুল জীবন ছেড়ে তাঁদের চিকিৎসায় ব্রতী হয়েছেন। অনেকেই বলছেন, ‘ফারুক না থাকলে আমরা যে কোথায় যেতাম।’

কী বলছেন স্থানীয়রা?

স্থানীয় এক বাসিন্দা হাসনা বিবি বলেন, ‘আমরা অনেকদিন থেকেই ওঁর কাছ থেকে পরিষেবা পাচ্ছি। উনি চিকিৎসার জন্য আমাদের কাছ থেকে কোনও অর্থ তো নেন না। উল্টে আমাদের অনেক ওষুধ নিজেই দেন। দুঃস্থদের আরও সাহায্য করেন। গ্রামের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এই কারণে ওঁকে আমরা ভগবান বলেই মানি।’

Medinipur Medical College : মন্ত্রীর পা ধরেও মেলেনি চিকিৎসা! নাবালিকার মৃত্যুর পর তৎপর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ
কী বললেন সেই চিকিৎসক?

ডাক্তারবাবু বলেন, ‘এখানকার বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর। আমার মনে হয়েছিল, এঁদের পাশে দাঁড়ানোর। ২০১০ সাল থেকে এই চিকিৎসাকেন্দ্র আমি চালু করি। এখন এই এলাকার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টা গ্রামের মানুষ এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পান।’ প্রায় ১৩ বছর ধরে টানা এই চিকিৎসাকেন্দ্র চালিয়ে আসছেন তিনি। শনিবার করে এই চিকিৎসাকেন্দ্র প্রতি সপ্তাহে চালু থাকে। বহু দূর থেকে মানুষের ভিড় জমে এই কেন্দ্রে।

তবে এরকম পরিষেবা তিনি কতদিন চালাবেন? ডাক্তারবাবু বললেন, ‘যতদিন আমি বেঁচে থাকবো, এই কাজ করে যাব।’ আগামী দিনে যাতে এই চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্রকে আরও উন্নত করা যায় সেই ভাবনাও রয়েছে তাঁর মধ্যে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *