Mamata Banerjee News : মমতার উত্তরসূরি কে? তৃণমূল সুপ্রিমোর জবাব শুনে অবাক সাংবাদিকরা – mamata banerjee says trinamool congress family will decide who lead the party after her


নবীন-প্রবীণ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে শাসকদল তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা চলছে। দল ও প্রশাসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি কে হবেন, সেই নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। রবিবার এই নিয়ে মুখ খুলে বিস্ফোরক দাবি করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি ২০৩৬-র পর মমতার স্থলাভিষিক্ত হবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

কী বললেন মমতা?

রবিবার দিল্লি উড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। অন্যদিকে বুধবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে তাঁর। এর মধ্যেই বুধবার দলের সাংসদদের সঙ্গে মুখোমুখি হন মমতা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলে কে তাঁর উত্তরসূরি হবেন, সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘আমার উত্তরসূরি কে হবে এখনও কিছু নির্ধারিত হয়নি। উত্তরসূরি কে হবেন, তা ঠিক করবে তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার।’

উত্তরসূরি ইস্যুতে মুখ খোলেন কুণাল

রবিবার চুঁচুড়ায় একটি রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় মুখ খোলেন তিনি। কুণাল বলেন, ‘বিরোধীরা শকুনের মতো তৃণমূলের দিকে নজর দিয়ে রেখেছে। বিরোধীরা মনে করছে তৃণমূলকে ভাঙতে পারলে ও দুর্বল করা গেলে বাংলার দখল নেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু, সেই গুড়ে বালি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০৩৬ সাল অবধি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তারপর দায়িত্ব নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় তৃণমূল সরকার থাকবে।’

যদিও কুণালের মন্তব্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল না। কারণ ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী অধ্যায়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উঠে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিকাংশ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা তাঁকে দলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবেই মনে নিয়েছেন। কিন্তু কুণালের দিনক্ষণ ঘোষণাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।

তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ ইস্যু

নবীন-প্রবীণ ইস্যুতে তৃণমূলের মতানৈক্য সামনে এসেছে। কুণাল ঘোষ, মদন মিত্রর মতো নেতাদের মতে, প্রবীণদেরই দল ও সরকারে নবীনদের জায়গা করে দেওয়া উচিত। এই ইস্যুতে মুখ খোলেন খোদ অভিষেকও। তিনি বলেন, ‘দলে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অবশ্যই থাকা প্রয়োজন।’ অন্যদিকে বয়স কোনও ফ্যাক্টর বলে মানতে রাজি নন ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। তাঁদের মতে, ‘গ্রহণযোগ্যতা’ আসল। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বলতে শোনা যায়, ‘মানুষের মনের কোনও বয়স হয় না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *