কী জানা যাচ্ছে?
সোমবার প্রথমে বড়বাজার এলাকায় ২১৮, রবীন্দ্র সরণিতে ললিতের পুরনো ঠিকানায় যায় তিন সদস্যের টিম। সেই এলাকায় ললিত যেখানে টিউশন পড়াতো, সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে শুরু হয় তদন্ত। এরপর গিরিশ পার্ক থানাতে হাজির হন তাঁরা। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ পুলিশের সঙ্গে আলোচনা চলে তাঁদের। দিল্লিতে সংসদ হানার আগে শেষ বাগুইআটির একটি বাড়িতে ভাড়া বাড়িতে থাকত ললিত। সেখানে তাঁর পরিবারও থাকে। সেখানেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যায় এই কেন্দ্রীয় পুলিশের দল।
ছয় রাজ্যে তদন্ত
জানা গিয়েছে, স্মোক অ্যাটাকের ঘটনায় মোট ছয় রাজ্যে তদন্ত চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল টিম। রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং বাংলায় একাধিক টিমে ভাগ হয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন তাঁরা। ঘটনায় যতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, প্রত্যেকের রাজ্যে গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মোট ৫০টির বেশি টিম এই তদন্ত চালাচ্ছেন। এর মধ্যে অন্যতম নজর রয়েছে বাংলায়। মূল চক্রী ললিতের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বাংলায় এসেছে তদন্তকারী টিম। কোথায় ললিতের আনাগোনা, কাদের সঙ্গে ললিতের যোগসাজশ ছিল, কী সংগঠন ললিত চালাতো সেই সমস্ত কিছু তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদের মধ্যে স্মোক বম্ব নিয়ে হামলা করার অভিযোগ ওঠে। দুজন সংসদের মধ্যে ঢুকে এই বোমা নিক্ষেপ করে। বাইরে দুইজন প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। ললিত তাঁদের ভিডিয়ো করছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর হইচই হতে শুরু করলেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় ললিত। পরে দিল্লি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছয়জনকে আগেই গ্রেফতার করেছে। এবার তাদের যোগসূত্র বের করতে তদন্ত চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ।
যদিও, এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যের রাজনৈতিক বাদানুবাদ শুরু হয়েছে। ললিতের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ছিল বলে দাগিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উল্টোদিকে, এই ঘটনার সঙ্গে বাংলার কোনও যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।