West Bengal Police : প্রেমিককে বিয়ে করে ‘ভয়ংকর’ পরিণতি! যৌনপল্লিতে ঠাঁই হল তরুণী, কোচবিহার তোলপাড় – coochbehar young girl allegedly sold by her husband police recovered her


বিয়ে করে স্বামীর সঙ্গে সংসার করার ইচ্ছে ছিল তরুণীর। মনের সাধ পূরণ করে বিয়ে হল। কিন্তু সংসার হল না। যার ওপর ভরসা করে বাড়ি ছেড়েছিলেন সেই এনে বিক্রি করে দিল কোচবিহারের যৌনপল্লিতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারের। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

কী ঘটনা?

বিবাহিত স্ত্রীকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় কোচবিহার জেলা। এমনই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারে। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। কোতয়ালি থানার পুলিশ অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দেলোয়ার মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। পাশাপাশি ওই মহিলাকে কোচবিহারের প্রিয়গঞ্জ কলোনির যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তরুণীকে উদ্ধার পুলিশের

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের বীরপুর থানা এলাকার বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে গত ২৫ নভেম্বর মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার দেলোয়ার হোসেন মণ্ডলের বিয়ে হয়। ৩০ নভেম্বর থেকে তরুণীকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় দেলোয়ার। তরুণীর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে কোচবিহার শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিয়গঞ্জ কলোনির যৌনপল্লিতে নিয়ে এসেছে। এখানেই জোর করে তাঁকে যৌনকর্মীর কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর কোতয়ালি থানার পুলিশ আধিকারিকদের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়।

পুলিশ আধিকারিকদের ওই দল রবিবার রাতে যৌনপল্লি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। সেখানকার একটি ভাড়াবাড়ি থেকে অভিযুক্ত দেলোয়ারকেও গ্রেফতার করা হয়। ওই তরুণীর বাবা বলেন, ‘বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় মেয়ে। পরবর্তীতে জানতে পারি কোচবিহারের যৌনপল্লিতে তাঁকে বিক্রি করা হয়েছে। এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছে।’

কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে স্পেশাল টিম তৈরি করে অভিযান চালানো হয়। ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *