শুধু তা-ই নয়, টানা তিন বছর শীতের মরশুমে এই দিনটা দিয়েই শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে নামা শুরু করেছে। আলিপুর হাওয়া অফিসের রেকর্ড বলছে ২০২১ ও ২০২২-এ এই তারিখে রাতের তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১৩.৯ ও ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার, অর্থাৎ ২০২৩-এর ১৭ ডিসেম্বরও শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রি!
সবে পা ফেলেছে পৌষ। এসে গিয়েছে, তা জানান দিতেও শুরু করেছে। এ দিন উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজ্যের অন্তত পাঁচটি জেলায় সমতলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে সিঙ্গল ডিজিটে। সাধে কী আর বলে, ‘পোষের শীত মোষের গায়ে’! ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত ঠান্ডা পড়া নিয়ে রীতিমতো সংশয়ী ছিলেন বাংলা, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। কিন্তু ডিসেম্বরের ১০-১১ তারিখ থেকে ছবিটা দ্রুত বদলে যেতে শুরু করে। ধারাবাহিক ভাবে কমতে শুরু করে রাতের তাপমাত্রা।
রবিবার কলকাতায় সেটাই নেমে আসে ১৩.৭ ডিগ্রিতে— মরশুমে প্রথমবার। শেষ বার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে ছিল ৩৩১ দিন আগে, এ বছরের ২০ জানুয়ারিতে। ওইদিন রাতের তাপমাত্রা ছিল ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পয়লা পৌষের হাড়ে কাঁপুনি কলকাতাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দার্জিলিং জেলা থেকে শুরু করে মালদা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূম নিয়ে মোট পাঁচ জেলার সমতলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ৯ ডিগ্রির ঘরে বা আরও নীচে।
এর মধ্যে শীর্ষস্থানে ছিল পুরুলিয়া (৮.৫ ডিগ্রি)। এ ছাড়া বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর (৯.৪) শিলিগুড়ি ও মালদার রতুয়া (৯.৬) ও শ্রীনিকেতন (৯.৮) ছিল এই দলে। বর্ধমান (১০), কোচবিহার (১০.৭), পানাগড় (১০.৯) এবং হাওড়ার (১১) রাতের তাপমাত্রাও ছিল কাঁপুনির জন্য যথেষ্ট।মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, শীতের পথে আপাতত কোনও বাধা না থাকায় ঠান্ডার দাপট বজায় থাকবে। আপাতত আগামী এক সপ্তাহ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই থাকবে।
অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। তবে ২২ ডিসেম্বরের পর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
পয়লা পৌষেই হাড়ে কাঁপুনি
* কলকাতা — ১৩.৭
** শহরে পারা শেষবার ১৩ ডিগ্রির ঘরে — ২০ জানুয়ারি ২০২৩ (১৩.৩)
** ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ও ২০২১-এ রাতের তাপমাত্রা — ১৩.৯ ও ১৩.৭
সিঙ্গল ডিজিটে পাঁচ জেলা
* পুরুলিয়া — ৮.৫
* বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর — ৯.৪
* শিলিগুড়ি ও রতুয়া — ৯.৬
* শ্রীনিকেতন — ৯.৮
(সব তাপমাত্রা ডিগ্রি সেলসিয়াসে)