কী জানা যাচ্ছে?
জানা গিয়েছে, চাকদা-বনগাঁ রাজ্য সড়কের দুই ধরে দখলদারির জন্য যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে নিত্যদিন। সংকীর্ণ রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সাধারণ মানুষের চলাফেরার জায়গাটুকুও নেই। সেই কারণে এই রাজ্য সড়কের সংকীর্ণ অংশ সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রাস্তার পাশে হাই ড্রেন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য।
কোথায় হবে সম্প্রসারণ?
চাকদা পূর্ব পাড়ের বাসস্ট্যান্ডের কাছ থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণ করা হবে। বর্ষাকালে রাস্তার অনেকাংশে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জমা জলের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। সেই কারণে ড্রেন নির্মাণ করার কথাও ভাবা হচ্ছে। সম্প্রসারণ করলে যানজটের সমস্যা অনেকটাই মেটানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
রাস্তার দুই ধারে বিভিন্ন দোকান, ঝুপড়ি গজিয়ে উঠেছে। ফাস্টফুড থেকে জামাকাপড়, মুদিখানা বিভিন্ন দোকান জায়গা দখল করে রেখেছে অনেকটা। সরকারি জায়গায় এই শেড গুলি থাকায় রাস্তা চওড়ায় অনেকটা কমে গিয়েছে। এ ব্যাপারে চাকদা ব্যবসায়ী সমিতির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে শেড সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতিও।
ইতিমধ্যেই, রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের উদ্যোগ শুরু হয়ে গিয়েছে। চাকদা বাস স্ট্যান্ড থেকে এই রাজ্য সড়ক সারা দিন রাত ব্যস্ত থাকে। বিভিন্ন রুটে বাস চলাচলের পাশাপাশি অটো, টোটো, ম্যাজিক গাড়ি সহ অন্যান্য যাত্রীবাহী গাড়ির আনাগোনা লেগে রয়েছে নিয়মিত। যানজটের ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে গাড়ি চালকদেরও। একটি পত্রিকায় চাকদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোককুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তা সম্প্রসারণের পাশাপাশি ড্রেন নির্মাণ করারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাস্তার দুই ধারে প্রায় ৫০০ বেশি দোকান রয়েছে। সেগুলিকে পিছিয়ে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর আগেও এই রাস্তা ‘মৃত্যু ফাঁদ’ হিসেবে গণ্য করা হতো মাত্রাতিরিক্ত দুর্ঘটনা হওয়ার কারণে। পুলিশের তরফে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে রাস্তার মাঝে স্প্রিং পোস্ট বসানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে যানজটের চিত্রটা পাল্টায়নি। সেই কারণেই এবার রাস্তা সম্প্রসারণের রাস্তায় হাঁটছে জেলা প্রশাসন।