কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে পাওয়া অ্যাডভাইজারির কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক। সোমবার দেশের সব রাজ্যকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের মতে, পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
জেএন.১ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক
কেরলে সম্প্রতি জেএন.১-এ আক্রান্ত এক মহিলার হদিশ পাওয়া যায়। সেই কারণে প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটক বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে। বয়স ও কম রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক সরকার।
তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এখনও এই নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সোমবার কোভিড নিয়ে একটি বৈঠক করেছে। সেই হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩৩টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়ছে। হাসপাতালের আধিকারিক সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। টেস্টিং কিট ও যাবতীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।’
কলকাতার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জেএন.১ ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের মতো অতটা ভয়ঙ্কর নয়। সেই কারণে ভয় পাওয়ার কোনও সমস্যা নেই। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট খুব ছোঁয়াচে।’ এই মূহূর্তের রাজ্যের কোনও হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগী নেই বলে জানা গিয়েছে। অধিকাংশ হাসপাতালই তাদের কোভিড ওয়ার্ড বন্ধ করে দিয়েছে। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, পরিস্থিত হাতের বাইরে গেলে চিকিৎসা শুরু করতে বিশেষ সময় লাগবে না। কারণ রাজ্যে তৈরি রয়েছে পরিকাঠামো।