কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ আইনি লড়াইয়ের পথে হেঁটেছেন। আপাতত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এদিকে, নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্য শাসক দল সমর্থিত সরকারি কর্মী সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ কর্মচারি ফেডারেশনের একটি সভা আয়োজিত হতে চলেছে। আর সেই সভা থেকেই DA নিয়ে বার্তা দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে এমনটাই।
সার্বিকভাবে আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘মমতাময়ী সিদ্ধান্ত নেবেন’, প্রত্যাশা তাঁরা। যদিও একাংশ অবশ্য মনে করছেন, রাজ্যের উপর বিভিন্ন চাপ রয়েছে। এই মুহূর্তে একাধিক প্রকল্প বাবদ অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার, দাবি রাজ্য়ের। ফলে নতুন বছরে DA আদৌ মিলবে কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিত সুর শোনা যাচ্ছে না সরকারি কর্মীদের কণ্ঠে।
AICPI অনুযায়ী DA-র দাবিতে আইনি লড়াই লড়ছে সরকারি কর্মচারি সংগঠন। নতুন বছরে DA বৃদ্ধির প্রত্যাশা প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের তরফে দেবপ্রসাদ হালদার বলেন, ‘এই সরকার ঠিক করে রেখেছে DA দেবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাবে ততক্ষণ DA দেবে না। ৪৬-এর জায়গায় ৬ দিয়েছে।’
কিছুটা একই সুর শোনা গেল রাজ্য সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীলের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘কোনও রাজ্য এভাবে DA আটকে রাখে না বা তাদের সরকারি কর্মীদের এভাবে সুপ্রিম কোর্টেও যেতে হয় না। আমাদের পাখির চোখ সুপ্রিম কোর্ট। রায় বার হলে সরকার নড়ে যাবে বলে আমরা মনে করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দোরগোড়ায় নির্বাচন! সেই কথা মাথায় রেখে যদি দুই এক শতাংশ DA বাড়িয়েও দেয় আমরা তাতে কোনওভাবেই সন্তুষ্ট হবে না। আমাদের আইনি লড়াই চলবে।’ উল্লেখ্য, চলতি বছর বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যদিও এতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। বরং আরও জোরাল আন্দোলনের পথে হাঁটার বার্তা দিয়েছিলেন তাঁরা।