Hooghly Bridge : রাজ্যে ফের ব্রিজ-বিপর্যয়! ঢালাইয়ের সময় ভাঙল নির্মীয়মাণ সেতু – hooghly under construction bridge one part collapsed on tuesday


নির্মাণ কাজ চলাকালীন ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু। নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার এবং লোহার রড ছাড়াই সেতু ঢালাইয়ের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। ঠিকাদারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারকে ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। আর এই বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় সেতু নির্মাণের কাজ। ঘটনাটি হুগলির হরিপাল থানার দ্বারহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের পার্বতীপুর এলাকার।

কী ঘটনা?

জানা গিয়েছে, ২৬ নং রাজ্য সড়ক থেকে পার্বতীপুর গ্রামে ঢুকতে হলে খাল পার হতে হয় গ্রামবাসীদের। খালের উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরব হয়েছিল এলাকাবাসী। গ্রামবাসীদের দাবি মেনে কিছু দিন আগেই শুরু হয় সেতু নির্মাণের কাজ। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবারও সেতু নির্মাণের কাজ চলছিল। ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। কাজ চলাকালীন হঠাই নির্মীয়মান সেতুর একটি অংশ ধসে যায়।

গ্রামাবাসীদের একাধিক অভিযোগ

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেতু ঢালাইয়ের জন্য কোনো লোহার রড ব্যবহার করা হয়নি। শুধু সিমেন্ট ও বালি দিয়েই ঢালাই হচ্ছিল সেতু। সেই কারণে তৈরির আগেই সেতুর একাংশ ভেঙে পড়েছে। সেতু নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা।

অন্যদিকে তাদের আরও অভিযোগ, জেলা পরিষদের তরফ থেকে এই সেতু নির্মাণ করা হলেও কাজের বর্ণনা দিয়ে কোনও বোর্ড লাগানো হয়নি। ফলে এলাকার মানুষ জানতেই পারছেন না কত টাকা ব্যয়ে এই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে বা সেতুর নির্দিষ্ট পরিমাপ কত? স্থানীয় এক গ্রামবাসী বলেন, ‘প্রকল্প ব্যয় ও সেতুর নির্দিষ্ট মাপ কত তা সাধরণ মানুষকে জানাতে অবিলম্বে বোর্ড লাগাতে হবে। পুনরায় সঠিক সামগ্রী দিয়ে সেতু নির্মাণ করতে হবে।’ বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেতু নির্মাণের কাজ।

অন্যদিকে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত উপ প্রধান বাবলু ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এটা জেলা পরিষদের তরফ থেকে তৈরি করা হচ্ছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ হচ্ছে। গ্রামবাসীদের দাবি মানা হবে। কাজটি যাতে সঠিক ভাবে হয় সেদিকে নজর রাখা হবে।’

কী বলছেন নির্মাণকারী সংস্থা ও প্রশাসন

যদিও নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঠিকাদারি সংস্থা। ওই সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় মণ্ডল বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ সম্পূন্ন করা হবে। তবে গ্রামবাসীরা যা অভিযোগ করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *