Malda News : কোটি টাকার জুয়া খেলা চলে প্রকাশ্যে! খেলেন পুরুষ-মহিলা সকলেই, মালদার এই মেলার ইতিহাস জানেন – malda mokatipur village fair famous for gambling celebrated for ritual


পাশা, তাস, চক্র সহ জমিয়ে বসেছে জুয়ার আসর। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে মেতেছেন জুয়ায় অর্থ উপার্জনের লোভে। ব্যাংকক বা দুবাইয়ের কোনও ক্যাসিনো ক্লাবের কথা হচ্ছে না। মালদা জেলার এক মেলায় চলছে এই জুয়ায় খেলা। শতাব্দী প্রাচীন এই রীতি পালিত হয়ে আসছে মালদার মোকাতিপুর এলাকায়।

কী জানা যাচ্ছে?

মালদা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোকাতিপুরে এই মেলার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়রা অনেকে একে জুয়াড়ি মেলা বলে থাকেন। মুলাষষ্ঠী তিথিতে প্রাচীন সময় থেকেই এই মেলা আয়োজন করা হয়। তবে জুয়া খেলার জন্য এই মেলায় কোনও পুলিশি নিষেধাজ্ঞা নেই। ধর্মীয় রীতিনীতি এবং মানুষের ভাবাবেগের সঙ্গে জড়িয়ে এই মেলা। সেই কারণেই প্রকাশ্যে জুয়া খেলা নিয়ে নেই কোনও বাধা। স্থানীয় পুরুষ, মহিলা সকলেই এই জুয়াড়ি মেলায় অংশ নেন।

স্থানীয়রা কী বলছেন?

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লেউড়ির মেলা বলেও বিখ্যাত এই মেলা। বিশেষ ধরনের মিষ্টান্ন এই লেউড়ি শুধু এই মেলাতেই পাওয়া যায়। মেলায় আগতরা জানিয়েছেন, বেহুলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ভোলা ষষ্ঠী উপলক্ষে বসে জমজমাট মেলা। মেলায় অন্যান্য মিষ্টান্ন পাশাপাশি বিক্রি হয় বিখ্যাত লেওড়ীর মিষ্টান্ন। পাশাপাশি, রীতি মেনে মহিলারাও জুয়া খেলেন এই মেলায়।

চলছে জুয়া খেলা

কী দেখার আছে?

  • সকাল থেকেই বেহুলা নদীর তীরে লক্ষ্মী প্রতিমা পূজার্চনা করেন মহিলারা।
  • পরিবারের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মহিলারা পুজোয় অংশ নেন।
  • পুজোর অন্যান্য সামগ্রী পাশাপাশি প্রাসাদে দেওয়া হয় লেউড়ি মিষ্টান্ন। সকাল থেকে শুরু হয় মেলা সন্ধ্যে নামতেই শেষ হয় মেলা।
  • পুজো শেষের পরেই বসে জুয়ার আসর। মালদা ছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিহার, ঝাড়খণ্ড, এমনকি অসম থেকেও এই মেলায় আসেন অনেকেই।
  • এ বছরে এই মেলায় প্রায় ২ কোটি টাকার জুয়া খেলা হয়েছে বলে খবর।

ইতিহাস কী বলছে?

তুর্কি শাসনকালে মালদার এই মোকাতিপুর এলাকা ছিল ঘন জঙ্গল এলাকা। কাছেই জঙ্গলে ছিল ষষ্ঠীদেবীর বেদি। সেখান বাড়ির মহিলারা পুজো দিতে যেতেন। বেদিতে যখন মহিলারা পুজো দিতে যেতেন তখন পুরুষরা বাইরে পাহাড়া দিত। তবে দীর্ঘক্ষণ ধরে পাহাড়া দেওয়ার সময় তাঁরা নিজেরাই চালু করেছিল মজার জুয়া খেলা। সেই থেকে পুজোর দিনে এই জুয়া খেলার আয়োজন শুরু। যা আজও পালন হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে মহিলারাও এই খেলায় অংশ নিতে শুরু করে দেন।

কী ভাবে যেতে পারেন?

উত্তরবঙ্গগামী যে কোনও ট্রেনে পৌঁছে যেতে পারেন মালদা টাউন স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি করে মহানন্দা সেতু পেরিয়ে শর্বরী রোড ধরে মোটামুটি আধ ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন মোকাতিপুর এলাকায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *