Manoranjan Byapari : প্রতিবাদের এ কী ভাষা! বিধায়ক মনোরঞ্জনকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক নেট মাধ্যমে – hooghly balagarh mla manoranjan byapari fall into controversy for using slang language in social media


মনের ভাব প্রকাশের সেরা মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে সেখানেই শ্লীলতার গণ্ডি পেরিয়ে গেলেই শুরু হয় বিতর্ক। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা স্বনামধন্য সেলিব্রিটি হলে চর্চার অন্ত থাকে না। সেরকমই এবার বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের প্রেক্ষিতে কিছু মানুষের কমেন্টে রিপ্লাই দেওয়া হয়েছে কদর্য ভাষায়। তাই নিয়েই শুরু বিতর্ক।

কী জানা যাচ্ছে?

বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী তাঁর ফেসবুক পেজে একটি বার্তা লেখেন। তিনি লেখেন, ‘এতো ট্রেলার হ্যায়, পিকচার আভি বাকি হ্যায় দোস্ত। থোরা ইন্তেজার করো। সব দেখনে কো মিলেগা। চোর কাটমানিখোরদের সাম্রাজ্য আমি ধ্বংস করবই। আমি দিদির আশীর্বাদ নিয়ে বলাগড়ে এসেছি। শালুদের ক্ষমা করব না। চোর মাটি মাফিয়া জুয়া বোর্ডের মালিক যে যা পারিস…’। বিধায়কের এই পোস্টে কিছু সাধারণ মানুষ কমেন্ট করেন। সেই কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়া হয়েছে যে ভাষায়, তা দেখে অবাক হচ্ছেন অনেকেই।

কেন এমন ঘটনা?

একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায় বলাগড় বিধায়ক বিজয়কৃষ্ণ কলেজের সামনে কিছু লোকজন নিয়ে তৃণমূলের বলাগড়ের একাংশ নেতৃত্বকে তুলোধোনা করছেন বিধায়ক। এক নেত্রীর নাম না করে তাকে সাপের সঙ্গে তুলনা করেন। জিরাটের তৃণমূল প্রধান তপন দাসকে ‘মাতাল’, ‘তোলাবাজ’ বলেন। কী করে স্কুল শিক্ষক হয় এমন ব্যক্তি? সে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি ২৩ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে প্রধান হয়েছেন বলেও দাবি করেন।

গত শুক্রবার কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে নবীন বরণ ও বাৎসরিক অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন হুগলি জেলা পরিষদ সদস্য তৃনমূল নেত্রী রুনা খাতুন,জিরাট প্রধান তপন দাস সহ আরও কয়েকজন তৃণমূল স্থানীয় নেতৃত্ব। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কলেজে গেটে লোকজন নিয়ে এই বক্তব্য পেশ করেন বিধায়ক।
যদিও স্থানীয়দের দাবি, মনোরঞ্জন ব্যাপারী রুনা খাতুনের মধ্যে বিরোধ পুরনো। প্রথম থেকেই নানা বিষয়ে তাদের মত বিরোধ দেখা গেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিলিবন্টন নিয়েও বিরোধ হয়েছে।তপন দাস রুনার গোষ্ঠীর। তাই কলেজে যাওয়ায় তপন দাসকেও একহাত নেন বিধায়ক।
বলাগড় কলেজ পরিচালন সমিতি আগে ছিল বহিষ্কৃত তৃনমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। বর্তমানে তা রয়েছে মনোরঞ্জন ব্যপারীর হাতে। সেই কলেজে কারও ছরি ঘোরানো পছন্দ নয় বিধায়কের তাই দলেরই নেতা নেত্রীদের কদর্য ভাষায় আক্রমন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বলাগড়ের বাসিন্দা দিলীপ রাজবংশি বলেন, বিধায়ক যখন ভোটে দাঁড়ায় আমরাও খেটেছি। উনি একজন সাহিত্যক হয়ে ফেসবুকে যে ধরনের ভাষা লিখছেন তা মানা যায় না। বিভাস রায় নামে এক তৃনমূল কর্মি বলেন,বিধায়ক ভোটে জেতার পর তার থেকে সেভাবে কোনো কাজ দেখতে পায়নি।আর উনি যে ভাবে অশ্লীল কথা লিখছেন ফেসবুকে তা একদমই উচিত হয়নি। কারও বিরুদ্ধে ওঁর কোনো অভিযোগ বা বক্তব্য থাকলে সেটা সমাজ মাধ্যমে কেন লিখছেন দলকে জানাতে পারেন।

Hooghly Bridge : রাজ্যে ফের ব্রিজ-বিপর্যয়! ঢালাইয়ের সময় ভাঙল নির্মীয়মাণ সেতু
জিরাট প্রধান তপন দাস বলেন,আমাকে প্রধান করতে বিধায়ক আর ব্লক সভাপতি সুপারিশ করেছিলেন প্যাডে তাহলে তিনি বলতে পারবেন কত টাকা নিয়েছেন।বিধায়ক এর আগেও বলাগড়ের প্রাস সব নেতার বিরুদ্ধে কিছু না কিছু বলেছেন। বাদ ছিলাম আমি। বিধায়কের আমার বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য থাকলে দলের ভিতর বলতে পারতেন এভাবে ওপেন ফোরামে কেন করলেন জানিনা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *