জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি: অক্টোবরের শেষ লগ্ন, শীত না পড়লেও তপ্ত হয়ে উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতি। নেপথ্যে রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ED-র হাতে তাঁর গ্রেফতারির পর রাজনীতিক মহলে সাইক্লোন আসে। সুর চড়ান বিরোধীরা। অন্যদিকে, জ্যোতিপ্রিয় নিজে অবশ্য বলেছিলেন, ‘আমি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। BJP ভালো কাজ করেছে, আমার শিকার করেছে।’
গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’
তাঁর নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু, অজ্ঞাত কারণবশত তিনি পরিচিত ‘কালীঘাটের কাকু’ হিসেবে। চলতি বছর মে মাসের শেষের দিকে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ED। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাম উঠে আসে তাঁর। আপাতত তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ED।
কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারি
বছরের শুরুতেই ED-র হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে। নিয়োগের বিনিময়ে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বহু নথি তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন কুন্তল।
শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এই অভিযোগে জেল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা জজ এবং হেস্টিংস থানায় চিঠি দেন তিনি। যদিও এই নিয়ে পালটা আদালতের দরজায় কড়া নাড়ে ED।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি
কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গ্রেফতার হন হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। তাঁর বলাগড়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা, সামনে এসেছিল এমনই তথ্য। তাঁকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল।