ফলে আইনজীবীরা সকাল থেকে বিচারপতির ১৭ নম্বর এজলাসের দিকে তেমন না-গেলেও ওই ঘরের সামনে বিচারপ্রার্থীদের ভিড় ছিল। সূত্রের খবর, এ দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সিনিয়র বিচারপতিরা একাধিক বার বৈঠক করেন। ঠিক কী নিয়ে আলোচনা, জানা যায়নি। তবে আইনজীবীদের জল্পনা, সোমবারের ঘটনার জেরেই এই জরুরি বৈঠক।
সকাল থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসের দরজা অবশ্য খোলা ছিল। তবে তিনি এ দিন আসছেন না জানার পর আইনজীবীরা চলে যান নিজেদের অন্য মামলায়। শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলা ছিল তাঁর এজলাসে। সেই সব মামলা অন্য বেঞ্চে শুনানির জন্যে পাঠিয়ে দেন কোর্ট কর্তৃপক্ষ। যদিও মূল মামলাগুলির আর শুনানি হয়নি সেখানে।
১৭ নম্বর এজলাসের সামনে সকাল থেকে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী-সহ বিভিন্ন মামলার বিচারপ্রার্থীদের অপেক্ষাই সার হয়। সোমবার বিকেলের ঘটনা নিয়ে এ দিনও আইনজীবীদের বিভিন্ন বারে আলোচনা চলেছে। প্রবল ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বহু আইনজীবী। এক বিচারপতি কী করে আইনজীবীকে কোট, গাউন খুলিয়ে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন, দলমত নির্বিশেষে আইনজীবীদের বড় অংশই ওই কাজের সমালোচনায় মুখর থেকেছেন।
তবে সামান্য কয়েক জন প্রশ্ন তোলেন, ভেবে দেখা দরকার কেন ওই আইনজীবীকেই এমন করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? অন্য যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নয় কেন? এই মত অবশ্য তেমন আমল পায়নি আইনজীবীদের মধ্যেই।