লড়াইটা শুরু হয়েছিল দীর্ঘ কয়েক বছর আগে। AICPI অনুযায়ী দিতে হবে DA, এই দাবিতে স্যাট-কলকাতা হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট, আইনি লড়াই লড়ছিলেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। শুধু তাই নয়, চলছিল অবস্থান বিক্ষোভ-ধরনাও। সেই সময়ই ফেব্রুয়ারি মাসে মেগা চমক দেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য তিন শতাংশ DA-র ঘোষণা করেন তিনি। বাজেট অধিবেশনের দিন তাঁর এই ঘোষণা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিল।
ঠিক কী ঘোষণা করেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য?
তিনি রাজ্য বাজেট পেশের দিন বলেন, ‘সরকারি কর্মীরা আরও তিন শতাংশ মহার্ঘভাতা পাবেন। পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এই বর্ধিত মহার্ঘভাতা মার্চ মাস থেকে পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।’
কী প্রতিক্রিয়া ছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের?
রাজ্য সরকারের এই ঘোষণার পর ক্ষোভ প্রশমিত হওয়ার জায়গাও আরও তেতে ওঠেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ‘৪২ শতাংশ হারে DA-র দাবিতে (তৎকালীন সময়ে এই হার ছিল) তাঁদের আন্দোলন। সেই জায়গায় মাত্র ৩ শতাংশ DA বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ সরকারি কর্মীচারি পরিষদ, ইউনিটি ফোরাম এবং কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ -এর তরফে জানানো হয়েছিল, আইনি লড়াই তাঁরা চালিয়ে যাবেন।
গড়ে ওঠে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে একাধিক সংগঠনকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই মঞ্চের তরফে শহিদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে।
দিল্লিতেও আন্দোলনের আঁচ
এই আন্দোলনের আঁচ গিয়ে পড়ে রাজধানীতেও। দিল্লিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যদের একাংশ।
ঠিক কী ঘোষণা করেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য?
তিনি রাজ্য বাজেট পেশের দিন বলেন, ‘সরকারি কর্মীরা আরও তিন শতাংশ মহার্ঘভাতা পাবেন। পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এই বর্ধিত মহার্ঘভাতা মার্চ মাস থেকে পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।’
কী প্রতিক্রিয়া ছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের?
রাজ্য সরকারের এই ঘোষণার পর ক্ষোভ প্রশমিত হওয়ার জায়গাও আরও তেতে ওঠেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ‘৪২ শতাংশ হারে DA-র দাবিতে (তৎকালীন সময়ে এই হার ছিল) তাঁদের আন্দোলন। সেই জায়গায় মাত্র ৩ শতাংশ DA বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ সরকারি কর্মীচারি পরিষদ, ইউনিটি ফোরাম এবং কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ -এর তরফে জানানো হয়েছিল, আইনি লড়াই তাঁরা চালিয়ে যাবেন।
গড়ে ওঠে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে একাধিক সংগঠনকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই মঞ্চের তরফে শহিদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে।
দিল্লিতেও আন্দোলনের আঁচ
এই আন্দোলনের আঁচ গিয়ে পড়ে রাজধানীতেও। দিল্লিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যদের একাংশ।
DA আন্দোলনে রাজনীতির ছায়া!
রাজ্য সরকারি কর্মীরা যখন আন্দোলন করছেন সেই সময় মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মচারি পরিষদ তাদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে BJP-কে সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে, DA নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করছে অভিযোগ শাসক শিবিরের।
আইনি লড়াই
২০২২ সালের ২০ মে DA মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশব বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মিটিয়ে দিতে হবে। এই নির্দেশ পুর্নর্বিবেচনার আবেদন নিয়ে পুনরায় ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। তবে তা ফের খারিজ হয়ে যায়। এরপর মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। আপাতত মামলাটি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন।