কী জানা যাচ্ছে?
পঞ্চায়েতের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন উদং-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য প্রসেনজিৎ মাজী। ইতিমধ্যে তিনি তার পদতাগপত্র আমতা ১ নং বিডিও এর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর নতুন বোর্ড গঠনের কয়েক মাসের মধ্যেই এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে আমতায়।
জানা গিয়েছে, আমতা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির উদং ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নং সংসদ থেকে নির্বাচিত হন প্রসেনজিৎ মাজী। যদিও নতুন বোর্ড গঠনের কয়েক মাসের মধ্যেই প্রসেনজিৎ মাজী ব্যাক্তিগত এবং পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তাঁর পদত্যাগপত্র বিডিও এর কাছে জমা দেয়। অন্যদিকে, বিডিও এর কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিযেছেন প্রসেনজিৎ মাজী।
কী বললেন তৃণমূল নেতা?
তিনি জানান, তৃণমূলের প্রতীকে জিতলেও মানুষের ভোটে জিতেছি। কিন্তু সেই মানুষের কাজ করতে গিয়েই আমাকে দলের পক্ষ নানা বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, দলে আমার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্য আরও অভিযোগ করেন, আমি একজন নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য হলেও এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে গেলে এলাকা উন্নয় কমিটির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এমনকি আমাদের কথার কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব জোর করে আমাদের উপর কাজ চাপিয়ে দেয়। এককথায় পঞ্চায়েত সদস্য হয়েও কোনও গুরুত্ব নেই বলেই সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলে জানান প্রসেনজিৎ মাজী।
পঞ্চায়েত প্রধান কী বলছেন?
অন্যদিকে, দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণে এই পদত্যাগপত্র দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই বলে জানান উদং-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জামিলা খাতুন। তিনি জানান, আমরা ওনাকে পদত্যাগ করতে বারন করেছিলাম। কিন্তু উনি শোনেনি। প্রসেনজিত মাজী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। আমার মনে হয় সেই কারণে সময় দিতে পারছেন না বলেই পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে জানান জামিলা খাতুন।