সেখানেই তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁকে বারবার তলব করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারের সম্মান নষ্টেরও চেষ্টা হচ্ছে বলে বারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, যে মামলায় তিনি কোনওভাবেই যুক্ত ছিলেন না, সেই মামলায় সিআইডি হেনস্থার জন্য বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে।
যেহেতু তিনি ওই বারের সদস্য, সেই কারণেই সংগঠনের কাছে বিষয়টি জানিয়ে রাখলেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন চিঠিতে। সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্তে এক পক্ষের হয়ে ওই আইনজীবী তদন্তে বাধা তৈরি করছেন বলে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানান এক প্রৌঢ়া বিধবা। তাঁর স্ত্রী কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ায় তিনিও তদন্তকারীদের ধমক দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় সিআইডিকে নির্ভয়ে ও নিরপেক্ষভাবে তদন্তের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তদন্ত শেষ করে একটি রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে সিআইডিকে। তারপরে গত শনিবার ওই বিচারপতির স্বামীকে ভবানী ভবনে তলব করে প্রায় সাত ঘণ্টারও বেশি তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
সোমবার তাঁর মোবাইল জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেয় সিআইডি। ২২ ডিসেম্বর আবার তাঁকে তলবও করেছেন তদন্তকারীরা। যদিও এদিন বিচারপতির স্বামীর অভিযোগ প্রসঙ্গে সিআইডির এক অফিসার বলেন, ‘বিচারাধীন বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’