যথাক্রমে নিয়োগ-দুর্নীতি ও রেশন-দুর্নীতিতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রেসিডেন্সি জেলের হেফাজতে থাকা এই দু’জনই এখন এসএসকেএমের কার্ডিয়োলজি বিভাগের দু’টি কেবিনে চিকিৎসাধীন। ‘কাকু’র যেমন হৃদপেশির ক্ষতি কতটা হয়েছে জানা জরুরি হয়ে পড়েছিল, বালুর ক্ষেত্রে তেমনই জানা দরকার, তাঁর মাথা কেন ঘুরছে, কেনই বা মাঝেমধ্যে জ্ঞান হারাচ্ছেন।
তাই বেসরকারি হাসপাতালে টেস্টের সুপারিশ করে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ এবং ইডি-কে চিঠি দিচ্ছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।
বাইপাস সার্জারির পর কখনও বুকে ব্যথা, কখনও বা রক্তচাপ ওঠানামার সঙ্গে বুক ধড়ফড় লেগেই আছে ‘কাকু’র। অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফি করে দেখা গিয়েছে, হৃদধমনিতে ক্যালসিয়াম জমেছে। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে রক্ত চলাচল।
এর জেরে তাঁর হৃদপেশির কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা জানার জন্যে ‘স্ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন স্ক্যান’ বা এসএমপিএস করানো প্রয়োজন। কিন্তু তা এসএসকেএমে হয় না। তাই বাইপাস সংলগ্ন বা একবালপুরের বেসরকারি হাসপাতালে এই টেস্ট করানোর পরামর্শ দিয়েছে সুজয়কৃষ্ণের চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড।
এ বার বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র ক্ষেত্রেও একই রাস্তায় হাঁটছে এসএসকেএম। কেননা তাঁর জন্যে জরুরি মহার্ঘ টেস্টও এই হাসপাতালে হয় না। হয় কলকাতার তিনটি বড় বেসরকারি হাসপাতালে। কী সেই টেস্ট যা এত জরুরি? সূত্রের খবর, চিকিৎসকেরা জানতে চান, জ্যোতিপ্রিয়র মাথা ঘোরা ও জ্ঞান হারানোর কারণ। মস্তিস্কের সিটি স্ক্যান কিংবা এমআরআই-তে কিছু মেলেনি। তাই ‘হেড-আপ টিল্ট টেবল টেস্ট’ বা এইচ-ট্রিপল টি পরীক্ষা দরকার।
এই টেস্টটি এসএমপিসএস-এর মতোই এসএসকেএম কিংবা অন্য কোনও সরকারি হাসপাতালে হয় না। হয় তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে। রোগীকে বিভিন্ন ভঙ্গি ও ‘অ্যাঙ্গেলে’ দাঁড় করিয়ে, বসিয়ে ও শুইয়ে এবং সব ভঙ্গিমাতেই মাথা সোজা রাখিয়ে করা হয় টেস্টটি। সেই অবস্থায় একযোগে রেকর্ড করা হয় রোগীর হৃদস্পন্দনের হার, হৃদযন্ত্রের ছন্দ, রক্তপ্রবাহের চরিত্র, রক্তচাপ ইত্যাদি। সম্মিলিত ফলাফলগুলি বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করা হয় অসুস্থতার কারণ।