Christmas Tree: এ বার বড়দিনে শহরে ‘ট্র্যাশ ট্রি’ – christmas tree made with use and throw materials in kolkata


এই সময়: গবেষক গবচন্দ্র জ্ঞানাম্বুধী জ্ঞানতীর্থ জ্ঞানচূড়ামণির গবেষণাগারে যে ঠিক কী কী ছিল, তার সারসংক্ষেপ দিয়েছিলেন হীরক রাজা। সাপ, ব্যাং, শকুনির ঠ্যাং ছাড়াও সেখানে হামানদিস্তায় ধাতুকে পিষে ছাতু করা এবং হাপরের সাহায্যে কত কী যে ভস্ম করার ব্যবস্থা আছে তার কূল-কিনারা করে ওঠা যায়নি। বড়দিনের আবহে ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক কাফেতে বসানো ‘ট্র্যাশ ট্রি’ সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য।

গাছটির উচ্চতা দশ ফুট। কিন্তু নিছক উচ্চতা এই গাছের বৈশিষ্ট্য নয়। অন্তত ১৫ দিন ধরে প্রায় ১২ জন মহিলার চেষ্টায় এই গাছ তৈরি করা হয়েছে। এমন ক্রিসমাস ট্রি শহর আগে দেখেছে কি? ফেলে দেওয়া বিয়ারের বোতল, ডিভিডি, ছেঁড়া জামা-কাপড়, ভাঙা ভাঁড়, অজস্র ঠোঙা, কাচ, কার্ডবোর্ড বাক্স, ইলেকট্রিকের তার, কাঠের টুকরো, এমনকী নেটের শাড়ি পর্যন্ত!

বড়দিনের মুখে নানা ধরনের বর্জ্য দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি তৈরি করে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগে সামিল হয়েছে মেক ক্যালকাটা রেলিভেন্ট এগেন, গ্রিনওয়েভস এনভায়রনমেন্টাল সল্যুশনস, ই-বর্জ্য নিয়ে সারা বছর নানা ধরনের কাজে যুক্ত অলাভজনক সংস্থা টুইর্ল স্টোর এবং ওয়াই-ইস্ট।

আগে থেকে জানা না-থাকলে ঝলমলে জিঙ্গল বেলগুলোর দিকে চট করে নজরই পড়বে না। মন দিয়ে দেখলে বোঝা যায় ওগুলোর একটাও সেই অর্থে ঘন্টা নয়। চা শেষ হয়ে যাওয়ার পর সীমাহীন তাচ্ছিল্যে ফেলে দেওয়া নানা ধরনের ভাঁড় পরম যত্নে তুলে এনে সেগুলো পরিষ্কার করে তার ওপর রং করা হয়েছে। সেই ভাঁড়ের সারিই এখানে জিঙ্গল বেল। আর যে ক্রিসমাস ট্রি-র সারা গায়ে জড়ানো রয়েছে ওই ঘন্টাগুলো? এই কারণেই ওই গাছকে ক্রিসমাস ট্রি না বলে ‘ট্র্যাশ ট্রি’ বললেই হয়তো যথার্থ হবে।

Christmas Tree: বাস্তু মেনে বড়দিনে ঘরের এই দিকে রাখুন ক্রিসমাস ট্রি, ছড়িয়ে পড়বে পজিটিভ এনার্জি
টুইর্ল স্টোরের পক্ষ থেকে সুজাতা চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘আমরা বাতিল করা এমন জিনিসপত্র ব্যবহার করে নানা ইনস্টলেশন তৈরি করি। ধরুন কোনও সংস্থা সারা বছর ধরে যত কাগজের কাপ ব্যবহার করেছে সেই সব দিয়ে আমরা কিছু তৈরি করে দিলাম। ওই সংস্থার কর্মীরা সেই ইনস্টলেশন দেখে বুঝবেন বর্জ্যের পরিমাণ কতটা।’

ওয়াই-ইস্টের মেঘদূত রায়চৌধুরী বলেন, ‘এই ধরনের কাজ যদি পরের প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে কিছুটা বাসযোগ্য করে তোলে, তাহলে মন্দ কী?’ যাঁদের চেষ্টায় বাতিল করা জিনিসপত্র পরস্পরের সঙ্গে মিশে এমন ক্রিসমাস ট্রি-তে পরিণত হলো তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সান্তনা হালদার, তুলিকা দলুই, মধুমিতা নস্কররা। তাঁরা বলছেন, ‘প্রথমে কয়েক দিন ধরে সেটিংটা সাজিয়ে নিতে হয়েছিল। কোন জায়গায় কী থাকবে, সেটা একবার পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পর বাকিটা সহজ।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *