এই প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, ‘এটা আমাদের ভিক্ষে দেওয়ার সমান। ৪০ শতাংশ DA-তে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেই জায়গায় ৪ শতাংশ DA ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা অবশ্যই আমাদের ভিক্ষে দেওয়া। আইনি লড়াই চলবে। আমরা নিশ্চিত সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের পরাজয় হবে এবং এরপর চার শতাংশ নয়, পুরো DAটাই দিতে হবে।’
অন্যদিকে, অপর মামলাকারী সংগঠন ইউনিটি ফোরামের তরফে দেবপ্রসাদ হালদার বলেন, ‘সরকার দয়ার দানের উপর চলছে। ৪ শতাংশ DA বাড়াল। এখনও ৩৬ শতাংশের তফাত। আমরা এক দিনের বকেয়াও যাতে না থাকে সেই জন্য লড়াই করছি এবং করব। ‘অ্যাকচুয়াল উইথ এফেক্ট ফর্ম’ কি দিচ্ছে? ১.১. ২৪ সাল থেকে রাজ্য দিচ্ছে। কিন্তু, পাওনা তো চার বছর আগে থেকে। আইনি লড়াই চলছে।’
কিছুটা একই সুর শোনা গেল অপর মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের শ্যামল মিত্রের কণ্ঠে। তিনি এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, ‘আমাদের ৪০ শতাংশ DA বাকি। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। এটা ভিক্ষে দেওয়া। আমরা ভিক্ষে চাইনি। অধিকার চেয়েছি। কর্মচারিদের ক্ষোভে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা। আমরা একেবারেই তা চাইনি। আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’
উল্লেখ্য, বড়দিনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১ জানুয়ারি থেকে সরকারি কর্মীরা ৪ শতাংশ বর্ধিত হারে DA পাবেন। ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকরি হবে। এক্ষেত্রে রাজ্যের ১৪ লাখ কর্মী এবং পেনশনভোগীরা উপকৃত হতে চলেছেন।’ যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ সন্তুষ্ট নন। সম্পূর্ণ DA-র দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। এখন দেখার DA মামলা কোন পথে মোড় নেয়