‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রাপক ‘মৃত’
বেশ কিছু সমস্যার শিকার হচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপকরা। জীবিত মহিলা হয়ে যাচ্ছেন মৃত। আর সেই কারনেই অনেকেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই ধরনের একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে।
দুই পুত্র ও স্বামীকে নিয়ে দিব্যি সংসার করছেন মহিষাদলের ইটামগরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়ার বাসিন্দা আয়েশা বিবি। কিন্তু ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-র তালিকায় সেই আয়েশাই এখন ‘মৃত’। পঞ্চায়েত থেকে বিডিও অফিস ছোটাছুটি করেও জীবিত হয়ে উঠতে পারেননি এই গৃহবধূ। সরকারি খাতায় এখনও তাঁকে মৃত দেখানো হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন আয়েশা সরকারি খাতায় এখনও তাঁকে মৃত দেখানো হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন আয়েশা। সরকারিভাবে তিনি মৃত। সেই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাঁর ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর সুবিধাও। গত ছ’মাস ধরে সেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত এই গৃহবধূ।
আয়েশা বলেন, ‘ গত এপ্রিল মাস থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছি না। কয়েকমাস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা না আসায় সন্দেহ হয়। তখন পঞ্চায়েত অফিসে যোগাযোগ করি। প্রধান পরামর্শ দেন বিডিওর কাছে সমস্যার কথা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করতে। বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছি। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।’
কী বলছে প্রশাসন?
ইটামগরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘প্রশাসনিক ভুলভ্রান্তির কারণে একজন গরিব মানুষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে একজন জীবিত মানুষকে। সরকারি তালিকায় তিনি মৃত। কীভাবে দ্রুত আয়েশা বিবি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে পারেন ব্লক প্রশাসন তার ব্যবস্থা করুক।’
মহিষাদল ব্লকের বিডিও বরুনাশিস সরকার বলেন, ‘বিষয়টি কয়েকদিন আগে আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক সাহেবের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। জন্ম ও মৃত্যুর পোর্টালে আধা লিঙ্কেজে ভুলের কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। আমরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’