বৃহস্পতিবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। এদিন বিচারপতি বলেন, ‘রেড রোডে র্যালি হচ্ছে। ১৪৪ ধারার মধ্যে আপনারা ধরনার অনুমতি দিলে নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে কেন অনুমতি নয়। এদিকে মামলাকারীরা বলেন, ‘রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা থাকা সত্বেও ধরনার অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ।’ যদিও রাজ্যের বক্তব্য ছিল, এই ভাবে ধরনা দিয়ে কাজের কাজ কিছু হয় না।
পালটা বিচারপতি বলেন, ‘কে বলেছে হয় না! স্কুল নিয়োগ নিয়ে ছেলে মেয়েরা ধরনায় বসে রয়েছে বলেই সরকারের প্রতিনিধিরা গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন। আলাপ আলোচনা হয়েছে।’ স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশে অনেকটাই স্বস্তিতে DA আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, AICPI অনুযায়ী DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আইনি লড়াই লড়ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি মিছিল, ডেপুটেশন দেওয়াও চলছিল। একাধিক সংগঠনকে নিয়ে DA আন্দোলনের জন্য গড়ে ওঠে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আপাতত এই মঞ্চটি শহিদ মিনারের পাদদেশে ধরনা অবস্থানে বসেছে।
চলতি বছরের বাজেট অধিবেশনে তিন শতাংশ DA বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের এই ঘোষণার পরও আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেননি রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বরং আন্দোলনের ধার আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে আগেই বৃহত্তর আন্দোলনের কথা বলা হয়েছিল। এবার নবান্ন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে আন্দোলনে বসার অনুমতি পেলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, DA মামলা এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগামী বছর মামলাটির পরবর্তী শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে স্যাট অর্থাৎ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল এবং কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জয় হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের। গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তিন মাসের মধ্যে বকেয়া DA মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে তা পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানানো হয় রাজ্যের তরফে। তবে তা খারিজ হয়ে যায় এবং মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।