West Bengal Health Department : নাবালিকা মায়ের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ স্বাস্থ্যকর্তার – purba bardhaman teenage girls pregnancy increasing says the department of health


এই সময়, বর্ধমান: দেশ ও রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার ছবিটা আলাদা নয়। টিনএজ মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। আর এই প্রবণতায় আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম।

বুধবার বর্ধমানের তিনকোনিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বেগের সঙ্গে খেয়াল করছি, জেলায় বহু অপ্রাপ্তবয়স্ক (টিনএজ) মহিলা সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ছেন। এটা খুবই আতঙ্কের। একজন মহিলার সন্তানধারণ ও প্রসবের জন্য ন্যূনতম ১৯ প্লাস বয়স না হলে বহু ক্ষেত্রে বিপদ ঘটতে পারে। সেটা জেলায় বাড়ছে।’

এ নিয়ে একাধিক সচেতনতা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর চিকিৎসক, নার্সদের বলেছি ওই মহিলাদের পরিবারের লোকেদেরও বোঝানো দরকার। এতে একটু হলেও সাফল্য এসেছে।’ পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে জেলায় এই সংখ্যা ছিল ২৯ শতাংশ। এখনও অবধি পাওয়া খবরে আমরা জানতে পেরেছি সেই সংখ্যা ১৯ শতাংশে নেমেছে।’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ বছরের নীচে সন্তানসম্ভবা মহিলার সংখ্যা ১৬.৪ শতাংশ। এদের অধিকাংশ পালিয়ে বিয়ে করেছে নয়, পরিবারের লোকেরাই লুকিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। জয়রাম হেমব্রম বলেন,‘নাবালক মেয়েরা যখন সন্তানসম্ভবা হয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসছে তখন আমাদের কিছু করার থাকছে না। এটা আমাদের কাছে উদ্বেগের আর চিন্তার বিষয়। এতে মা ও সন্তান দু’জনেরই জীবনের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার কুপ্রভাবও অনেকটা দায়ী।’

বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসনও। শিশু-নারী ও সমাজকল্যাণ দফতরের জেলা তথ্য আধিকারিক সৌরভ কোলে বলেন, ‘করোনার সময়ে টিনএজ প্রেগনেন্সি সব থেকে বেশি হয়েছিল। পরে আমাদের কর্মীদের ধারাবাহিক প্রচার ও এলাকায় গিয়ে বোঝানোর পর সেটা ২৯ শতাংশ থেকে নেমে ১৯ শতাংশে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য, ২০২৪ সালে এই সংখ্যাটা পাঁচ শতাংশের নীচে নিয়ে আনা। তার কাজ আমাদের শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে পালিয়ে যে মেয়েরা বিয়ে করছে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা কিছু করতে পারছি না। মেয়েদের বাবা-মা জানতে পারছেন না। সেখানে আমাদের তো সমস্যা হবেই। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’

Sundarban Police: পাচার রুখতে কড়া ব্যবস্থা, ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড পেলেন আইসি
এ বিষয়ে একশো শতাংশ সাফল্য পাওয়া কঠিন বলে মনে করছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিও। তিনি বলেন, ‘সামাজিক সমস্যার সমাধানে আমাদের সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। ২৯ না ১৯, কত শতাংশ হলো সেটা বড় কথা নয়, এর সুফল, কুফল নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক প্রচার চালাতে হবে। জেলায় এই সংখ্যা শূন্য শতাংশে আমরা আনতে পারব না ঠিকই, তবে ধারাবাহিক প্রচার আর নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে যাতে পালিয়ে বিয়ে করার প্রবণতা বন্ধ হয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *