Caste Certificate : সরকারি দফতরেই জাল জাতিগত শংসাপত্রের চক্র! বিপদে পড়ুয়ারা, শোরগোল মালদায় – fake caste certificate issuing allegation at chanchal village in malda


সরকারি আধিকারিক স্বাক্ষর করে হাতে তুলে দিয়েছেন জাতিগত শংসাপত্র। খুশি মনে শংসাপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন উপভোক্তা। সেই শংসাপত্র সংশ্লিষ্ট জায়গায় কাজে লাগাতে গিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে উপভোক্তার। জানানো হয়, সেটি নাকি জাল ভুয়ো। সরকারি দফতর থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট জাল হয় কী করে? হইচই মালদা জেলায়।

কী জানা যাচ্ছে?

জাল ডাক্তার থেকে জাল শিক্ষক, বাজারে ছড়াছড়ি। এবার তফসিলি জাতির শংসাপত্রেও জাল। মালদার চাঁচল ২ নং ব্লকের কাপাসিয়া এলাকার প্রায় ১২ থেকে ১৫ জন তফসিলি জাতির উপভোক্তা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা ব্লক দফতরে আবেদন করেছিলেন তফসিলি জাতির শংসাপত্রের জন্য। ব্লক থেকে শংসাপত্র মিলে ছিল। কিন্তু সেই শংসাপত্র নিয়ে বিভিন্ন কাজে গিয়ে দেখতে পাচ্ছেন সেই শংসাপত্র অবৈধ।

জমা পড়েছে অভিযোগ

বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারি আধিকারিকদের সই করা শংসাপত্র কীভাবে জাল হল। তবে কি এখানেও কোন চক্র চলছে? বৃহস্পতিবার এ ঘটনা সামনে আসতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা হেড চাঁচল ২ নং ব্লকের গৌড়হন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কাপসিয়া নুনিয়াপাড়া এলাকায়।

জানা গিয়েছে, কাপসিয়া এলাকার প্রায় ১২ থেকে ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী তারা বেছপুরা কালিকাপুর স্কুল পড়ুয়া হাই স্কুলের পড়ুয়া। ২০১৯ সাল থেকে ওই পরম্পরায় তফসিলি জাতির শংসাপত্রের জন্য জন্য আবেদন করেছিলেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০২০ সালে তারা শংসাপত্র পান। চাঁচল ২ নং ব্লকের পক্ষ সেই শংসাপত্র তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।কিন্তু হাতে সেই শংসাপত্র অবৈধ বলে দাবি করছেন পড়ুয়ারা। স্কুল পড়ুয়ার সেই সার্টিফিকেট নিয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করলে ব্লকের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে সেই শংসাপত্র অবৈধ। এটি কোনও কাজে আসবে না। শুধু তাই নয়, তফসিলি জাতি হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ঘটনা নিয়ে তাঁরা ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন, অভিযোগ জানানোর পরেও কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।

SC ST Certificate : বাংলার কোটার ৩৫০০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর চাকরি ‘লুট’! নেপথ্যে ভুয়ো ‘কাস্ট সার্টিফিকেট’, হটস্পট ব্যারাকপুর
শুরু রাজনৈতিক তরজা

বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, সরকারটাই সম্পূর্ণ জাল। তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদিও বিষয়টি খতিয়ান দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। বক্সির দাবি, এই ভুলের জন্য কেউ জড়িত থাকলে প্রশাসনকে বলবো পদক্ষেপ নিতে। পাশাপাশি চাঁচলের মহকুমা শাসক সৌভিক মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রক্রিয়াগত জন্য এই ভুল হতে পারে। বিডিওকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলছি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *