এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ আমরা সংবাদপত্রে পড়েছি, ধরনার অনুমতি পেয়েছে।’ অন্যদিকে, এজি কিশোর দত্ত বলেন, ‘অনুমতি দেওয়া হলেও তার সঙ্গে সহমত নয় রাজ্য। আরও অন্যান্য জায়গা রয়েছে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরনার জন্য অনুমতি পেয়েছে। সাধারণত এখানে ধরনা হয় না। এটি পরিবহণ দফতরের জায়গা।’
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে আইনজীবী বলেন, ‘ওই এলাকা পুরো ফাঁকা। শনি ও রবিবার ধরনা হবে।’ অন্যদিকে, আদালত মামলাকারীদের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘এটা উৎসবের মরশুম। পার্কস্ট্রিট সেজে উঠেছে। আগেও বারবার বলেছি এই রাজ্যে বিষয়টি নতুন নয়। প্রায় এক বছর ধরে আপনাদের অবস্থান চলছে। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই DA ঘোষণা করেছেন।’
এজি বলেন, ‘মনে হয় না এতে আন্দোলনকারীরা খুশি।’ অন্যদিকে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই ধরনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামীকাল বিকেল চারটের মধ্যে তা শেষ করতে হবে।’ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আরও সতর্ক করেন, ‘কোনও আপত্তিকর মন্তব্য (ডেরোগেটারি কমেন্ট) করা চলবে না।’ স্বাভাবিকভাবেই তা আন্দোলনকারীদের ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে নবান্ন বাসস্ট্য়ান্ডের সামনে ধরনা কর্মসূচি করার অনুমতি দিয়েছিলেন। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ৩০০ জনের বেশি ওই ধরনা মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
এদিন বিকেলেই অবশ্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ DA-র কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাতে খুশি নন সরকারি কর্মীরা, তা তাঁরা স্পষ্টভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতেই ধরনাস্থল পরিদর্শনে যান সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের একাংশ। শুক্রবার সকাল থেকেই নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায় সংগঠনের প্রতিনিধিদের। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত বচসাতেও জড়িয়ে পড়ে তারা। এবার তাঁদের ধরনার মেয়াদ কমানোর নির্দেশ দিলে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। অর্থাৎ বেশ খানিকটা স্বস্তিতে রাজ্য।