জয়ী হয়ে ফিরলেন সুরজ
ডুয়ার্সের চালসার বাসিন্দা সুরজ থাপা। ছোট থেকেই রান্না করা তাঁর অন্যতম শখ। একরাশ স্বপ্ন নিয়ে জাতীয় মঞ্চে লড়াইয়ের জন্য গিয়েছিলেন সুরজ। সাফল্য মিলেছে হাতেনাতে। মাস্টারশেফ ইন্ডিয়ার ফাইনালিস্ট হন তিনি। অডিশন থেকে ধীরে ধীরে নিজের সুস্বাদু রান্নার কৌশল দেখিয়ে চতুর্থ স্থান লাভ করেন তিনি।
বিশেষ সংবর্ধনা
বৃহস্পতিবার নিউ মাল জাংশন স্টেশন থেকে বিজয়ী প্রতিযোগীকে বরণ করে নেন এলাকার মানুষ। একটি হুড খোলা গাড়িতে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। চালসার গোলাইয়ে অনেকেই তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য হাজির হন। মিষ্টিমুখ, ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় তাঁকে।
কী বললেন সুরজ?
সুরজ এদিন বলেন, ‘ এত বড় একটা জাতীয় প্ল্যাটফর্মে চতুর্থ স্থান অধিকার করব, ভাবতে পারিনি। জয়ী হতে পারে আমি খুব খুশি। আমি চালসার সকল বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানাই। গোটা রাজ্য আমাকে সমর্থন করেছে। আগামী দিনে ডুয়ার্সের নাম তুলে ধরব সারা বিশ্বের সামনে।’
সুরজের বাবা একটি গ্যারেজে কাজ করেন, মা গৃহবধূ। সুরজ মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে। এরপর শিলিগুড়ির একটি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতেই রান্নাবান্না নিয়ে সময় কাটত তাঁর। বিভিন্ন মিষ্টির পদ, কেক বানানোয় তিনি বিশেষ পারদর্শী। এরপর মাস্টার শেফ ইন্ডিয়ায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করে সুরজ। অডিশন দেয় এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য। সারা দেশ থেকে মোট ১২ জন প্রতিযোগীকে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। বাংলার আরও এক প্রতিযোগীর সঙ্গে সেরা ১২ প্রতিযোগীর মধ্যে স্থান পায় সুরজ থাপা।
ডুয়ার্সের এক প্রত্যন্ত গ্রাম চালসার নাম উঠে আসে জাতীয় মঞ্চে। প্রতিযোগিতায় তাঁর রান্না সমাদৃত হয় বিচারকদের কাছে। প্রতিযোগিতায় তাঁর রান্নার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তে থাকে সামাজিক মাধ্যমে। এক একটি ধাপ পার হতে হতে অবশেষে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছয় সুরজ। প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন তিনি। আগামী দিনে তাঁর একটি রেস্তোরাঁ খোলার ইচ্ছে রয়েছে। তাঁর কৃতিত্বের জন্য বাবা – মার অবদানের কথাও তুলে ধরেন তিনি।