কী নতুন ব্যবস্থা?
জানা গিয়েছে, নবান্নের সকল কর্মীকেই এই কার্ড দেওয়া হতে চলেছে। এতেই পূর্বনির্ধারিত থাকবে কোন ব্যক্তি কোন তলা পর্যন্ত যেতে পারবেন। অর্থাৎ, আর তিনি নবান্নে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। তবে একতলার জন্য এক কার্ড প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন নেই। এক তলার উপরে উঠতে চাইলে তখন এই কার্ড প্রয়োজন পড়বে।
কী ভাবে কাজ করবে কার্ড?
নবান্ন সূত্রের খবর, নতুন বছরের শুরুর দিন থেকেই অর্থাৎ আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই এই নয়া সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। চিপ-যুক্ত বিশেষ প্রযুক্তির কার্ডগুলিতে ঠিক করা থাকবে কার্ডের ব্যবহারকারীর যাত্রাপথ। কে কত তলা পর্যন্ত যেতে পারবেন সেই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া থাকবে কার্ড। পাশাপাশি, এই সুরক্ষা ব্যবস্থাটির সম্পূর্ণ রূপ দিতে নবান্নের প্রতিটি করিডরে দু’টি করে সিকিউরিটি গেটও বসানো হচ্ছে। প্রতিটি গেটের গায়ে বসানো থাকবে কার্ড সোয়াপিং মেশিন। সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নির্দিষ্ট কার্ড ছোঁয়ানোর পরে তবেই খুলবে গেট।
সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির ওই নির্দিষ্ট তলে যাওয়ার প্রবেশাধিকার থাকলে তবেই সেই কার্ড মেশিন ঠেকালে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গেটটি খুলবে। যদিও, কিছু অফিসার এবং পুলিশ আধিকারিকদের প্রতিটি তলেই যাতায়াতের প্রয়োজন থাকে। সেক্ষেত্রে বিশেষ পদাধিকার বলে তাঁদের দেওয়া হবে ‘অল ফ্লোর অ্যাক্সেস কার্ড’।
প্রসঙ্গত, ১৪ তলায় নবান্নতে সব থেকে উপরে অর্থাৎ ১৪ তলায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস। এরপর ১৩ তলায় রয়েছে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং অন্য কিছু পদস্থ কর্তার অফিস। বাদবাকি তলায় রয়েছে স্বরাষ্ট্র, ভূমি সংস্কার, কৃষি ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর, অর্থ, পূর্ত, এবং পুলিশের মতো গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলি রয়েছে বিভিন্ন তলায়। সেক্ষেত্রে সুরক্ষা বলয় ১২ এবং ১৩ তলা থেকে শুরু করা হবে বলেই জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে যে কেউ যে কোনও তলায় যাতে না চলে যেতে পারে, সেই কারণেই এই আধুনিক কর্পোরেট অফিসের কায়দায় ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে নবান্নে।