Teachers Recruitment: সুপারিশের আগে ঠিক স্কুল খুঁজতে তৎপর বিকাশ ভবন – west bengal 150 teachers face problems after receiving the wrong acceptance letter


সাত বছর পর আদালতের নির্দেশে কাউন্সেলিংয়ে সুপারিশপত্রের বদলে অ্যাকসেপটেন্স লেটার পেয়েও বিপাকে উচ্চ প্রাথমিকের দেড়শো’র বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা। এঁরা স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এ ইমেল এবং চিঠি দিয়ে স্কুলে যোগদানের অনেক আগেই তিন ধরনের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন। কেউ লিখেছেন স্কুলে শূন্যপদ আছে কিন্তু ক্যাটেগরিতে (জাতপাতভিত্তিক সংরক্ষণ) ভুল। কারও বক্তব্য, তিনি যে বিষয়ের শিক্ষক, স্কুলে সেই বিষয়ের কোনও শূন্যপদ নেই। আবার কারও দাবি, স্কুলের ঠিকানাটাই গোলমেলে।

এই পরিস্থিতিতে স্কুলশিক্ষা দফতর ও কমিশনারেটের কর্তাদের মনে নতুন করে দারিভিটের ঘটনা উস্কে দিয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ২০১৮ সালে দারিভিট হাইস্কুলে যে সব বিষয়ের শিক্ষকের দরকার ছিল, তার বদলে অন্য একটি বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জন মারাও যান। এ বার তাই শিক্ষকদের ভুল স্কুলের সুপারিশ সংশোধনে আগেভাগে তৎপর স্কুলশিক্ষা অধিকরণের (ডিরেক্টরেট) আধিকারিকরা।

ঝাড়গ্রামের বিকাশ সিংহকে তাঁরই বেছে নেওয়া খারবাদি সুভাষচন্দ্র হাইস্কুলে বায়ো-সায়েন্সের সাধারণ ক্যাটেগরির শিক্ষক হিসেবে অ্যাকসেপটেন্স লেটার দিয়েছিল এসএসসি। কিন্তু স্কুলে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন, পদটি তফসিলি জাতিদের (এসসি) জন্য সংরক্ষিত। যদিও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (ডিআই-মাধ্যমিক) সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনি সমস্যার সমাধান করে দেন।

অনেকটা একই সমস্যায় পড়েন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিমল দাস। কমিশনের কাউন্সেলিংয়ে তিনি নামখানার দ্বারিকনগর হাইস্কুল পছন্দ করেন। বাংলার হবু শিক্ষক এসএসসি-র চিঠি হাতে পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানেন, সেখানে উচ্চ প্রাথমিকে এসসি ক্যাটেগরির বাংলা পোস্টে কোনও শূন্যপদ নেই। নবম-দশমে আছে। এখন বিমল কী করবেন, তা নিয়ে ধন্দে। যদিও এক্ষেত্রেও ডিআই সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

West Bengal School : বিপন্ন স্কুল বাঁচাতে বৈঠক পুরসভার
বীরভূমের ইতিহাসের হবু শিক্ষিকা নন্দিতা মণ্ডল কাউন্সেলিংয়ে গিরিপুর পুরানাগ্রাম বৈকুণ্ঠনাথ হাইস্কুল পছন্দ করেছিলেন। স্কুলের ঠিকানা হিসেবে লেখা — দক্ষিণগ্রাম, ময়ূরেশ্বর। কিন্তু নন্দিতার কথায়, ‘স্কুলের প্রকৃত ঠিকানা গিরিপুর, পুরানাগ্রাম, মহম্মদবাজার। ময়ূরেশ্বর থেকে মহম্মদবাজারের দূরত্ব ২২-২৫ কিলোমিটার। বিষয়টি জানিয়ে এসএসসি-কে ইমেল করেছি। এখন সুপারিশপত্রে যদি ঠিকানা সংশোধন করে দেওয়া হয়, তা হলে রক্ষা।’

বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকরাই শূন্যপদের তালিকা শিক্ষা অধিকরণ বিভাগে পাঠিয়েছিল। সেই মতো কাউন্সেলিং শুরুর আগেই তা এসএসসি-র কাছে পাঠানো হয়। এখন সংশোধন করতে হলে, ডিআই-দেরই স্কুলভিত্তিক শূন্যপদের সেই তালিকা সংশোধন করতে হবে। সেটা যত দ্রুত সম্ভব হয়, ততই মঙ্গল। আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব ভুল সংশোধন করে যথাযথ শূন্যপদে নিয়োগের সুপারিশ করা হোক।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *