কী জানা যাচ্ছে?
এবার নতুন এক ব্যাকটেরিয়ার নাম হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে। ব্যাকটেরিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্যান্টোইয়া টেগরী।’ সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির এই ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক এবং গবেষকরা। বিশ্বভারতীর বোটানি বিভাগের মাইক্রো বায়োলজির অধ্যাপক ডক্টর বুম্বা দাম ও ৫ জন সহকারি গবেষক গত পাঁচ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আবিষ্কার করেছেন এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া । যা কৃষিবিজ্ঞানে নজির গড়েছে।
কোন পথে হল আবিষ্কার?
মূলত যে মাটিতে উদ্ভিদের উপযোগী ও প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান কম রয়েছে সেই সমস্ত জমিতে খোঁজ শুরু করেন তাঁরা। তখনই তাঁরা ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া কয়লা খনি এলাকায় নতুন প্রজাতির এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান । এরপর সেই ব্যাকটেরিয়ার ফেনোটাইপিক ও জেনোটাইপিক বৈশিষ্ট খতিয়ে দেখে গবেষকরা জানতে পারেন এই ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের এনপিকে ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে।
কী জানালেন গবেষক?
ঘটনা প্রসঙ্গে অধ্যাপক বুম্বা দাম জানান, ‘বিষয়টি অ্যাসোসিয়েশন অফ মাইক্রোবায়োলজিস্ট অফ ইন্ডিয়াতে জানানো হয়েছিল।’ তিনি জানান, নভেম্বর মাসের ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মাইক্রোবায়োলজিতে আবিষ্কৃত বিষয়টি প্রকাশিত হয়। আর তারপরেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা নতুন আবিষ্কৃত ব্যাকটেরিয়াকে স্বীকৃতি দেয়। মূলত, কৃষি ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানের কথা মাথায় রেখে আমরা ব্যাকটেরিয়ার নাম দেওয়া হয় প্যান্টোইয়া টেগরী।’ এই আবিষ্কার যে কৃষিবিজ্ঞানে অবদান রাখবে তা নিয়ে আশাবাদী বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক বুম্বা দাম পাঁচ গবেষক রাজু বিশ্বাস, অরিজিৎ মিশ্র, সন্দীপ ঘোষ, অভিনব চক্রবর্তী ও পূজা মুখোপাধ্যায়। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে খোঁজ পাওয়া যায় এই নতুন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার। পরিবেশে অনেক রকমের ব্যাকটেরিয়া থাকে, তাঁর মধ্যে এটি একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া। মূলত, উদ্ভিদ কূলের বৃদ্ধিতে অনেকটাই সাহায্য করবে এই ব্যাকটেরিয়া। তবে নতুন ব্যাকটেরিয়ার নামকরণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম জুড়ে দেওয়ার বিষয়টি সত্যিই নজিরবিহীন বলে জানাচ্ছেন অনেকেই।