SLST চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ১০০০ দিনে পা দিয়েছে সম্প্রতি। সেই দিনই চুল কামিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এক মহিলা আন্দোলনকারী। রাজপথে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনায় রীতিমতো নড়ে গিয়েছিল সমস্ত মহল। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কুণাল ঘোষ। শুধু তাই নয়, তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাও করেছিলেন।
সেই মোতাবেক সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন চাকরিপ্রার্থীরা এবং তা যে বেশ ইতিবাচক ছিল, এমনটাও জানানো হয়েছিল আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী, এসএসসির চেয়ারম্যান ও প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির সঙ্গে আলোচনা করেন আন্দোলনকারীরা। এদিন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁদের ১ তারিখটি দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্য়ে নিয়োগ সংক্রান্ত জট কেটে যাবে। অর্থাৎ তাঁদের দীর্ঘ দিনের আন্দোলন সফল হবে এবং তাঁরা শীঘ্রই নিয়োগ পাবেন বলে আশাবাদী।
যদিও এই সময়সীমার বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী স্বয়ং মানেননি। তিনি জানিয়েছেন, এটি অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়। এভাবে দিনক্ষণ বলা সম্বব নয়। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা যাতে অতি দ্রুত কাটে সেই জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের মামলাটি বিচারাধীন। ফলে তাও একটি অন্যতম বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন এখনই তাঁরা ধরনা প্রত্যাহার করবেন না। যদি ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়োগ তাঁরা পেয়ে যান সেক্ষেত্রে ধরনা তুলে নেওয়া হবে। অন্যদিকে, কুণাল ঘোষ এই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
তিনি জানান, বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি অতি দ্রুত সমাধান চাইছেন। তবে ১ ফেব্রুয়ারির ডেড লাইনের কথাটি তিনি মানতে চাননি। তিনি জানান, এক্ষেত্রে একাধিক জটিলতা রয়েছে। তবে সমস্ত কিছু পেরিয়ে যাতে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া যায় সেই কারণে পদক্ষেপ করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে।
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষের প্রেক্ষিতেও পালটা আক্রমণের সুর এদিন শোনা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কণ্ঠে।