শীতের গভীর রাতে বন থেকে বেরিয়ে এসে স্কুল ভেঙে দিয়ে গেল দাঁতাল…Wild Elephant destroyed four rooms of opolchand primary school magurmari students in problem


অরূপ বসাক: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারটি শ্রেণিকক্ষ ভেঙে দিল বুনো হাতি। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে  মালবাজার মহকুমার ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মাগুরমারি ফরেস্ট এলাকায়। স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৩টার দিকে অপলচাঁদ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে একটি হাতি হামলা চালায় মাগুরমারি অপলচাঁদ এফ.ভি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

আরও পড়ুন: Dooars: সুখবর! ডুয়ার্সে পর্যটনের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমতে চলেছে…

কেন হামলা? জানা যায়, হাতিটি মূলত খাবারের খোঁজেই আসে। তার সেই সন্ধানের পথেই পড়ে যায় স্কুলটি। সে স্কুলের চারটি শ্রেণিকক্ষ সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে মনোজ রায়, রবি রায় প্রমুখ জানান, রাত ৩টার দিকে অপলচাঁদ বন থেকে একটি হাতি বেরিয়ে আসে। সেটি বিদ্যালয়ের চারটি শ্রেণিকক্ষে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে রাতেই অপলচাঁদ বন দফতরের কাঠামবাড়ি রেঞ্জের বনকর্মীরা এসে হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরান। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ ওঁরাও জানান, এর আগেও হাতির হামলায় ক্ষতি হয়েছে স্কুলটির। তাই বন দফতরের উচিত এই স্কুলটিকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি বন দফতরের দেখা উচিত। কী বলছে বন দফতর? এ ব্যাপারে বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টহলদারি বাডানো হবে। 

এর আগেও এক দাঁতালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছিল মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটার টন্ডু টিজি স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলের ক্ষেত্রেও এটা নতুন কিছু নয়। গত পাঁচ বছরে এই স্কুলে হাতি হামলা চালিয়েছে বহুবার। হাতির হানায় স্কুলের কোনও ঘরই আর বর্তমানে অক্ষত নেই। ফলে স্কুলের পঠনপাঠন থেকে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল খাওয়া– সবই খোলা আকাশের নীচে, স্কুলমাঠে। জঙ্গল-লাগোয়া স্কুলটিকে হাতির হানা থেকে রুখতে স্কুলের বাউন্ডারির চারদিকে বৈদ্যুতিক ফেন্সিং লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। নাগরাকাটার টন্ডু টিজি স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক বড়ুয়া বলেছিলেন, স্কুলের চারপাশে একটি গভীর পরিখা তৈরির দাবি জানানো হলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। 

আরও পড়ুন: Bankura: পোড়ানো হল ১০ বছর ধরে জমে থাকা হাতির ৬০ দাঁত! কেন?

তবে বন দফতরসূত্রে জানা গিয়েছিল, হাতির গতিবিধির প্রতি সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। এলাকাটি হাতির যাতায়াতের পথ। তাই এই রকম দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে। বন দফতর জানিয়েছিল, স্কুল বাঁচাতে সেখানে ব্যাটারিচালিত ফেন্সিং তৈরির ভাবনাচিন্তাও রয়েছে। বাজেটও ধরা আছে। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *