Bhagirathi Milk Producers Union Limited,নতুন বছরে দুধ সংগ্রহের পরিমাণ কমাচ্ছে ভাগীরথী – bhagirathi milk union decreases milk collection in new year


এই সময়, বহরমপুর: ফের ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের কোপে দুগ্ধ চাষিরা। নতুন বছরের শুরুর দিন থেকে ৮৯টি দুগ্ধ উৎপাদক সমিতির দুধ নেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভাগীরথী কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, যে সমস্ত দুগ্ধ উৎপাদক সমবায় সমিতির দুধ সংগ্রহের পরিমাণ ৫০ লিটারের কম, তাদের চিঠি পাঠিয়ে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী পয়লা জানুয়ারি থেকে এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে ৮৯টি দুগ্ধ উৎপাদক সমবায় সমিতিকে চিঠি পাঠিয়েছে ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে কয়েক হাজার দুগ্ধ চাষিকে আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হবে। অভিযোগ, ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য একের পর এক চক্রান্ত করা হচ্ছে।

ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিজয় অধিকারীকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। হরিহরপাড়ার এক দুগ্ধ চাষি ইজাউল হক বলেন, ‘বেশি দুধ সরবরাহ করলে তা ড্রেনে ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে। আবার কম দুধ দিলে নেওয়া হবে না বলে ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনায় আমরা কোন দিকে যাব? ৮৯টি দুগ্ধ সমবায় সমিতি থেকে দুধ নেওয়া বন্ধ করা হলে অন্তত হাজার খানেক দুগ্ধ চাষি ক্ষতির মুখে পড়বেন। আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’

মুর্শিদাবাদ জেলা দুগ্ধ উৎপাদক সংঘের সম্পাদক পীযূষ ঘোষ বলেন, ‘ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য এ সব চক্রান্ত চলছে। এটা আমরা হতে দেব না। দুগ্ধ সমবায় সমিতিগুলিকে নিয়ে আন্দোলনে নামা হবে।’

‘ভৈরবী’ রাগ শুনে খুশি হয় গোরু! দুধ দেয় বেশি, কোথায় আছে এমন গোশালা?
গত সেপ্টেম্বর মাসেই ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ লিটার দুধ ড্রেনে ফেলে নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে এলে শোরগোল পড়ে যায়। প্রতিবাদে দুধ রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখান দুগ্ধ চাষিরা। এরপরেই ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ দুগ্ধ চাষিদের থেকে দুধ নেওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন।

ফের নয়া নির্দেশে ক্ষুব্ধ দুগ্ধ চাষিরা। এর আগে ৬৮০টি দুগ্ধ উৎপাদক সমবায় সমিতি থেকে দুধ সংগ্রহ করত ভাগীরথী। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩২০টিতে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে আরও ৮৯টি সমিতি থেকে দুধ নেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্তে তাই ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

রাজ্যের প্রথম দুগ্ধ সমবায় ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নের দুধ, ঘি, পনির ও দইয়ের চাহিদা ছিল বাজারে। আস্তে আস্তে তা কমতে শুরু করে। ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন ১ লক্ষ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু শীতের কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *