‘অতিথি’ ই-পোর্টালের মাধ্যমে পাওয়া যাবে হোটেলে আসা অতিথিদের পরিচয়-সহ সমস্ত খুঁটিনাটি। অসাধু ব্যক্তিদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে এনে পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই ই-পোর্টাল চালু করতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। সেই মতো নতুন এই পোর্টালটি চালুর বিষয়ে ইতিমধ্যেই পর্যটনকেন্দ্র জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হোটেল মালিকদের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠকে সেরে ফেলেছেন জেলা পুলিশ কর্তারা।
‘অতিথি’ নামে নতুন এই পোর্টালটিতে হোটেলে আসা অতিথিদের পরিচয় এবং যাবতীয় তথ্য আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। https://hotel.emdp.in এই সাইটে গিয়ে হোটেল সংক্রান্ত যেকোনও তথ্য আপলোড করলেই অনলাইন মারফত সরাসরি তা জেলা পুলিশের হাতে চলে যাবে। এর ফলে কোনওরকমের টালবাহানা ছাড়াই সহজেই কিনারা করা যাবে যে কোনও ঘটনার। অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে এই পোর্টাল অনেকটাই সহায়ক হয়ে উঠবে।
জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১২০০ হোটেল-রিসর্ট রয়েছে। যার মধ্যে দিঘাতেই রয়েছে প্রায় ৫৫০ হোটেল। এছাড়াও মন্দারমণি ও দিঘা মোহনা থানার মধ্যে রয়েছে হোটেল। এর পাশাপাশি আবার জেলার শিল্প শহর হিসেবে পরিচিত হলদিয়া, মহিষাদল, তমলুক, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট সহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আরও অনেক হোটেল। যেগুলিতে জেলার বাসিন্দা সহ দূরদূরান্তের বহু পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে প্রতিনিয়তই।
জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা-সহ সমস্ত রকমের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নতুন একটি ই-পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এটি একটি পাইলট প্রজেক্ট। জেলার হোটেলগুলিকে একই ছত্রছায়ায় নিয়ে এসে এই পোর্টাল চালুর উদ্যোগে জেলাজুড়ে কাজ শুরু হয়েছে।’প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন দিঘা শংকরপুর হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। তবে এক্ষেত্রে হোটেলের কর্মীদের প্রশিক্ষিত হতে আরও বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলে মন্তব্য তাদের।
সম্প্রতি দিঘা, মন্দারমণি এলাকায় খুনের ঘটনা পুলিশকে চিন্তায় ফেলে। পাশাপাশি হোটেলে বেআইন কার্যকলাপের বিষয়টিও সামনে আসে। গোয়ায় অপরাধ সংঘটিত করে দিঘার হোটেলে আত্মগোপন করা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিককালে দিঘায় হোটেল লিজ নিতে এসে লোকাল ট্রেনে ট্রলি ব্যাগের ভিতর থেকে ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার, এই ঘটনাগুলিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে দিঘার হোটেলগুলিতে নজরদারি চালানোর জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করল প্রশাসন।