ঠিক কী ঘটনা?
অ্যাম্বুল্যান্স, শববাহী গাড়ি থেকে শুরু করে জল, জঞ্জাল সংগ্রহের গাড়ি চালানোর হুগলি চুঁচুড়া পুরসভায় ৫০ জনের বেশি গাড়িচালক রয়েছেন। চলতি মাসে তাঁরা বেতন পাননি বলে অভিযোগ। সেই কারণে পুরসভায় গিয়ে চেয়ারম্যানের ঘরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। গাড়ি চালকদের দাবি, কোনও মাসেই ঠিক করে বেতন পাওয়া যায় না। বেতনের জন্য আন্দোলন করতে হয়। হুগলির আর কোনও পুরসভায় এরকমটা হয়না বলেও দাবি তাঁদের।
গাড়ি চালকে আন্দোলনের পিছনে রয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্তদের একাংশ। তবে মূল সংগঠন গাড়িচালকদের দাবি দাওয়া সমর্থন করলেও গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী নয়। পুরসভার তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বিনোদ হরিজন বলেন, ‘পরিষেবা বন্ধ রেখে আন্দোলনের পক্ষে আমরা নই। তবে সবাjই পেট আছে। কেউ যদি কাজ বন্ধ রাখে সেটা ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত না। চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন ব্যাঙ্ক খুললে মঙ্গল বা বুধবার বেতন হবে। দেখা যাক কি হয় তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’
শুরু রাজনৈতিক তরজা
এই ঘটনার কথা সামনে আসার পর থেকে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে রাজ্যের পুরসভাগুলি। মানুষের প্রচুর অভিযোগ আমার কাছে আসছে। যাঁরা অস্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। প্রতিমাসে তাদের লড়াই করতে হচ্ছে। অথচ যাঁরা বসে রয়েছে তাদের পকেটে প্রচুর টাকা রয়েছে। অস্থায়ী কর্মীদের উপেক্ষিত করা হচ্ছে। অস্থায়ী কর্মীরা যদি আমার সাহায্য চায় আমি তাদের পাশে থাকব।’
পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, ‘প্রতিমাসেই বেতন দেওয়া হয়। দশ তারিখের পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যায়। এবারও টাকার ব্যবস্থা হলেই বেতন হবে। কেউ যদি কাজ বন্ধ করে সে বেতন পাবে না। কাজ না করতে চাইলে অন্য ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালানো হবে। কিন্তু গা জোয়ারি বরদাস্ত করব না।’