কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৩ শতাংশ।
কলকাতার তাপমাত্রা কমার আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রার পারদ থাকবে ঊর্ধ্বমুখীই। আপাতত এক সপ্তাহ হাওয়া বদলের সম্ভাবনা কম। এরপর ফের কি শীতের স্পেল? প্রত্যাশায় শীতপ্রেমীরা। তবে খুশির খবর, এখনই কলকাতায় বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ হালকা শীত গায়ে মেখেই বড়দিন উপভোগ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া?
বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে রাজ্যে। আর এই কারণেই দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার আকাশ মেঘলা। রবিবারও কিছুটা একই থাকবে পরিস্থিতি। আগামী এক সপ্তাহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। রবিবার দার্জিলিঙে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা। বড়দিনে পাহাড়ে জাঁকিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করা যাবে। বর্তমানে পাহাড়ে উপচে পড়া পর্যটকদের ভিড়। এই ঠান্ডার আমেজ তাঁরা উপভোগ করতে পারবেন। আপাতত পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই।
কবে ফের শীতের কামব্যাক?
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবে শীত? আবহবিদরা জানাচ্ছেন, এখনই শীতের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কম। তবে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পের প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেলে ফের একবার তাপমাত্রা নিম্নমুখী হবে বলেই জানা যাচ্ছে।