Tarapith Temple : খুলে গেল ‘দ্বিতীয় তারাপীঠ’ মন্দির! মায়ের দর্শনে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় – tarapith mandir alike tara maa temple of purba medinipur opens for devotees


অন্যতম শক্তিপীঠ হিসেবে দেশজোড়া খ্যাতি বীরভূমের তারপীঠের। বছরের বিভিন্ন সময়ে সেখানে ভক্ত সমাগম হয়। বাংলা নববর্ষ, কৌশিকী অমাবস্যা বা কালীপুজোর মতো তিথিতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না তারাপীঠ মন্দিরে। রাজ্যের আরও এক জেলায় তারাপীঠের মন্দিরের আদলে প্রতিষ্ঠিত দেবী মূ্র্তি। এই মন্দির নিয়ে ভক্তদের ভক্তদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। দীর্ঘ দু’বছর বন্ধ থাকার পর খুলল সেই মন্দির।

তারপীঠের আদলে মন্দির, দেবীর প্রতিষ্ঠা

বীরভূমের তারাপীঠের আদলে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার চকগোপাল গ্রামের মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত তারা মা। ভক্তদের মুখে মুখে ‘দ্বিতীয় তারাপীঠ’ নামে মন্দিরের পরিচিতি। সাধক বামাখ্যাপাকে নিয়ে মন্দিরে বিরাজমানদেবী। মন্দিরের দ্বার ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এই মন্দিরে ভিড় জমতে শুরু করেছে ভক্তরা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ পাঁশকুড়ার এই মন্দিরে ছুটে আসেন।

মাঝে হঠাৎ করে মন্দির বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ ছিল ভক্তদের। তবে সেই মন্দির আবার নতুন করে সেজে উঠেছে। নতুন করে মা তারা মন্দিরে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। পালকিতে চাপিয়ে মন্দিরে নিয়ে আসা হয়েছে দেবী মূর্তিকে। ঢাকঢোল বাজিয়ে হোমযজ্ঞ ও পূজোপাঠের মধ্য দিয়ে নতুন করে তারাপীঠের আদলে তৈরি মন্দিরের দ্বার খোলা হল ভক্তদের জন্য। খুশি পাঁশকুড়াসহ সমগ্র জেলাবাসী।

দ্বিতীয় তারাপীঠ!

এই মন্দির ক্রমেই দ্বিতীয় তারপীঠ নামে ভক্তদের কাছে পরিচিত হতে শুরু করেছে। মন্দিরে দরজা খুলে যেতেই তারা মায়ের দর্শনে নেমেছে ভক্তদের ঢল। তারা মায়ের দর্শন করে কেউ প্রণাম করছেন, কেউ নিজের মনোস্কামনার কথা মাকে জানাচ্ছেন। বীরভূমের তারপীঠ মন্দিরের আদলে ব্যাঞ্জন সাজিয়ে মায়ের কাছে ভোগ নিবেদন করা হয়েছে এই মন্দিরে।

কী বলছেন ভক্তরা?

এই মন্দিরের এক সেবায়েত বলেন, ‘পীঠ হিসেবে বীরভূমের তারপীঠই আসল। কিন্তু আমাদের ইচ্ছে ছিল মাকে এখানে স্থাপন করার। সেই কারণে আমরা এখানে মায়ের মন্দির তৈরি করেছি। এটা কোনও পীঠ নয়। তবে মায়ের মন্দির হওয়ার পর থেকে এখানে হাজারে হাজারে ভক্ত সমাগম হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তন থেকে ভক্তরা এখানে এসেছেন। দ্বিতীয় তারাপীঠ মানুষ বলে, কিন্তু আমরা তা মানতে রাজি নই। প্রথম বা দ্বিতীয় বলে কিছু হয় না। মা সবার।’

মন্দির কমিটির সদস্য অজয় দোলুই বলেন, ‘মন্দির প্রায় দু’বছর বন্ধ ছিল। ২২টি গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় সংস্কার করা হবে। আগেও প্রচুর মানুষ এখানে আসতেন। মন্দির খোলার পর মানুষের ঢল নেমেছে। তবে মন্দিরের আশেপাশে রাস্তার কিছু সমস্যা রয়েছে। ভক্তদের সমস্যা হয়। সেকথা আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *