Trinamool Congress : ‘কম্বল’ নিয়ে তোলাবাজি! দলের নেতার বিরুদ্ধে ‘গুরুতর’ অভিযোগ তৃণমূলকর্মীর – purba bardhaman trinamool leader allegedly extort money in blanket distribution name


কম্বল বিতরণের জন্য টাকা দাবি। না পেয়ে মারধর ও গালিগালাজের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা।

কী ঘটনা?

তৃণমূলের পরিচালনায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান হবে। ১০০টি কম্বলের টাকা চেয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীকে চাপ, গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বর্ধমান ১ নং ব্লকের ভোতারপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতার।

অভিযোগকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মী শেখ আরজুর নিজেকে তৃণমূলকর্মী বলে দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, আগামী রবিবার ভোতারপাড় এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ মালেকের উদ্যোগে একটি কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ১০০টি কম্বলের টাকা চেয়ে ওই কর্মীকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। চাপের মুখে ওই কর্মী গোটা বিষয়টি মালিককে জানানোর কথা বলতেই শুরু হয় মারধর ও গালিগালাজ। বর্ধমান থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের অভিযোগকারী ওই কর্মীর। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।

কী বললেন আক্রান্ত কর্মী?

আক্রান্ত কর্মী শেখ আরজুর বলেন, ‘শেখ মালেকের উদ্যোগে ভোতারপাড়ে একটি কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা এই রবিবার। ১০০ পিস কম্বলের টাকা দিতে হবে বলে আমাকে জানানো হয়। আমিও তৃণমূল করি বলে জানাই। তাঁদের আমি বলি, আমি নিতান্ত একজন কর্মচারী তাই যা বলার মালিককে বলুন। কিন্তু সেই কথায় কর্ণপাত না করে শেখ মালেক ও তাঁর দলবল বলে টাকা আমাকেই দিতে হবে। বেশ কয়েকজন আমাকে গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমার উপর চড়াও হয় এবং মারধর করে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। শেখ মালেক বলেন, ‘গোটা ঘটনাই মিথ্যা। ওই গোডাউনে বেআইনি ব্যবসা হচ্ছে খবর পেয়ে আমাদের ছেলেরা গিয়েছিল। সেটা জানতে গিয়েছিল। তখন কয়েকজনকে নিয়ে শেখ আরজুর আমাদের কর্মীদের উপর চড়াও হয়। আমরা চাঁদা তুলে কম্বল বিতরণ করি। ইতিমধ্যেই এক হাজার কম্বল কেনা হয়েছে। কম্বলের জন্য কোনও টাকা চাওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *