Uttar 24 Pargana : প্রয়োজন নয়, ভালোবেসেই ব্যবসায়ী, অশোকনগরের ‘দুয়ারে’ পাউরুটি দিদি – ashoknagar woman selling bread cakes and other sweet items door to door


পরিশ্রম করতে পারলে মাথা উঁচু করে বাঁচা যায়। পাওয়া যায় উপযুক্ত সম্মান। একজন মহিলা পুরুষের থেকে কোনও অংশেই কম নয়, তা অন্তত পাউরুটি দিদিকে দেখলে বোঝা যায়। সকাল হলেই বাড়ির দুয়ারে হাজির ‘পাউরুটি দিদি’। শীত হোক বা গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা, প্রতিদিন ভোরে উঠে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে চলে পাউরুটি বিক্রি। আর এভাবেই সাইকেলে পাউরুটি লাড্ডু বিস্কুট বিক্রি করেই আজ স্বনির্ভর অশোকনগরের এক গৃহবধূ।

পাউরুটি দিদিকে নিয়ে চর্চা

এ লড়াই অশোকনগরের এক গৃহবধূর। পরিবারকে রক্ষা ও সংসারের চাহিদা মেটাতে এভাবেই বছরের পর বছর পাউরুটি বিক্রি করে চলেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা বিউটি দাস। সামনেই বড়দিন, তাই পাউরুটির পাশাপাশি কেকেও বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন বিউটি। বাড়ি বাড়ি কেকও পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি আর এভাবেই যেন মফস্বল শহর অশোকনগরের সান্তাক্লজ হয়ে উঠেছেন তিনি। যদিও সকলেই এখন তাঁকে ‘পাউরুটি দিদি’ হিসেবেই চেনেন। অশোকনগর এলাকার বহু মানুষের ঘুম সকালে বিউটির ডাকেই ভাঙে।

ছোট বাচ্চা হোক কিংবা প্রবীণ মানুষ, সকলের মুখের এই ডাক রীতিমতো হাসি ফোটায় মহিলা সাইকেলে পাউরুটি বিক্রেতা বিউটির ঠোঁটে। সংসার সামলে অন্ধকার থাকতেই ভোরবেলায় উঠে পাউরুটি আনতে যেতে হয় হাবড়ায়। সেখান থেকেই ব্যাগে ভর্তি করে পাউরুটি লাড্ডু সহ বিস্কুট নানা ধরনের খাবার নিয়ে, আবার সাইকেল চালিয়েই ফিরে আসেন অশোকনগরে। তারপরই প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে অশোকনগর বিধানসভা সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে ঘুরে তা বিক্রি করেন।

কী বললেন বিউটি?

স্বামী ও দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে বিউটির সংসার। কিন্তু স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে এই পেশাকে বেছে নিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন ঘুরে ঘুরে এই ব্যবসার মধ্যেই যেন শান্তি খুঁজে পান বিউটি। দিনশেষে হাত খরচের টাকা উঠে আসলেও, প্রতিদিন বহু মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ নানা কথাবার্তাই যেন সতেজ রাখে গৃহবধূকে। এলাকার বহু মহিলা বিউটিকে দেখে এখন স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে।

লাজুক মুখে বিউটি বলেন, ‘আমি অশোকনগরের গোলবাজার এলাকায় থাকি। ভোর ৪টে নাগাদ হাবড়াতে রুটি আনতে যাই। রোজ ১৫ কিলোমিটার করে সাইকেল চালিয়ে পাউরুটি বিক্রি করে। লোকে আমাকে পাউরুটি দিদি বলে ডাকেন। আমরা মেয়ে এমএসসি শেষ করেছে। ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আমার কাছে সব রকমের পাউরুটি থাকে, লাড্ডু থাকে, কেক থাকে। কখনও মোয়াও থাকে। যা টাকা রোজগার করি আমার চলে যায়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *