কী জানা যাচ্ছে?
স্থানীয় সূত্রে খবর, অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় ওই তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মৃত শুভাশিস মহন্ত ওরফে কার্তিকের বাড়ি ইছলাবাদ এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের ১০ ওয়ার্ডের শ্রীপল্লী এলাকায়। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কী ঘটনা ঘটেছে?
মৃতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের সক্রিয় তৃণমূলকর্মী শুভাশিস মহন্ত ওরফে কার্তিক পারবীরহাটা শ্রীপল্লী এলাকায় একটি হোটেল থেকে খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় শঙ্কর ঘোষ নামে এক ব্যক্তি তাঁকে মারধর করে। বচসার মাঝেই ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় তাঁকে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি লক্ষ্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
মৃতের পরিবার কী বলছে?
মৃতের মা মন্দিরা মহন্তের অভিযোগ, সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবে শুভাশিস মহন্ত এলাকায় নানান ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করত। শঙ্করের সঙ্গে এর আগেও একবার ঝামেলা হয়েছিল। তার জেরেই এই খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক তৃণমূল কর্মী হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জয়নগর থেকে আমডাঙা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটে একের পর এক তৃণমূল কর্মী হত্যার ঘটনা ঘটেছে কয়েক মাসে। কোথাও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, কোথাও রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক শত্রুতা সহ অন্য কোনও কারণে হত্যার ঘটনার খবর উঠে আসছে। ফের এবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল বর্ধমান জেলায়। ঘটনায় দোষীকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে বর্ধমান থানার পুলিশ।