Howrah to Bardhaman Train : ট্রেনে উঠতে গিয়ে বিপত্তি! হাওড়া স্টেশনে পা পিছলে পড়লেন যাত্রী, তারপর… – howrah to bardhaman local train passenger saved from accident by rpf


লোকাল ট্রেনে সাবধানে ওঠার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেওয়া হয় সর্বক্ষণ। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠা – নামার ব্যাপারে রয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। এরপরেও কিছু মানুষ সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলাচল করেন। যার পরিণাম মৃত্যুও হতে পারে। এরকমই বরাতজোরে রক্ষা পেলেন এক যাত্রী।

চলন্ত লোকাল ট্রেনে উঠতে গিয়ে ফের বিপদের সম্মুখীন এক যাত্রী। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন তিনি। রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ৬ নম্বর প্লাটফর্মে। কোনওরকমে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচেন তিনি। প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত অন্যান্য যাত্রীদের সহযোগিতায় প্রাণ বাঁচে তাঁর।

আরপিএফ সূত্রে খবর, রবিবার ৬ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে আপ হাওড়া বর্ধমান লোকাল ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার সময় একজন যাত্রী দৌড়ে ট্রেনে উঠতে যান। গেটের সামনে থাকে হ্যান্ডেল ধরে ঝুলতে ঝুলতে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন তিনি। এতেই হয় বিপত্তি! হঠাৎ যাত্রীটি প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের মধ্যে যে ফাঁক তাতে পড়ে যান। ওই অবস্থায় যাত্রীটি ঘষতে ঘষতে বেশ কিছুটা যায়। সেই সময় কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানরা এবং অন্যান্য যাত্রীরা তা দেখতে পেলে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। ওই যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে।

গোটা ঘটনাটাই সিসিটিভি ক্যামেরা বন্দি হয়। আরপিএফ-এর পক্ষ থেকে যাত্রীদের বারবার অনুরোধ করা হলেও এক শ্রেণির যাত্রীরা চলন্ত ট্রেনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে উঠছেন। তার ফলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছে আরপিএফ। এই ধরনের কাজ থেকে তাঁদের বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে আরপিএফ।

রেলের তরফে প্রকাশ্যে এসেছে একটি ১৪ সেকেন্ডের ভিডিয়ো। তাতে দেখা গিয়েছে, সবেমাত্র স্টেশন ছেড়ে ধীর গতিতে চলতে শুরু করেছে আপ বর্ধমান লোকাল ট্রেনটি। কিন্তু সময়ের মধ্যে সেই যাত্রী স্টেশনে পৌঁছতে পারেননি। দেরি করে আসায় তিনি দৌড়ে ট্রেন ধরতে যান। দেখা যায়, ধূসর রঙের শার্ট পরিহিত এক যাত্রী ছুটে এসে ট্রেনের কামরায় উঠতে চেষ্টা করছেন। চলন্ত ট্রেনের কামরায় দৌড়ে উঠতে গিয়ে তিনি পা পিছলে পড়ে যান। ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের ফাঁকে প্রায় চলে গিয়েছিলেন।

Rail Accident: বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা, রেল কর্মীদের তৎপরতায় বাঁচল ৮০০-র বেশি প্রাণ
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি মাসেই গড়ে পাঁচ থেকে আটজনকে এইভাবে বাঁচানো হয়। একাধিকবার রেলের তরফে এভাবে চলাচলের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও সেই নির্দেশ অমান্য করছেন অনেকেই। যাতে কোনও যাত্রী এভাবে যাতায়াত না করেন, সেই ব্যাপারে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *